খোশ আমদেদ মাহে রমজান

129

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ দ্বিতীয় রমজানুল মোবারক ১৪৩৯ হিজরী। তারাবীহর নামাজ : রমজান মাসে সিয়াম সাধনা ফরজ এবং এশার নামাজের পর বিশ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তারাবীহ নিয়ত : নাওয়াইতুআন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতাই সালাতিত তারাবীহ সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতে আল্লাহু আকবার। : প্রতি চার রাকাত পর পর বিশ্রাম নেয়া মুস্তাহাব। এই সময়ে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়া যায় সুবহানা যিল মূলকী ওয়াল মালাকুতি সুবহানাযিল ইজ্জতি ওয়াল আজমতি ওয়াল হায়বতি ওয়াল কুদরতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল জাবারুত সুবহানাল মালিকিল হায়্যিল্লাযি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়াররুহ। : যে সকল কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় : রোজা রেখে শরীয়ত সম্মত কারন ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে খানাপিনা ও স্ত্রী সম্ভোগ করার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। আর এতে ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব। অনিচ্ছাকৃত ভাবে অযু, গোসলে পানি বা অন্য কোন খাদ্যদ্রব্য গলানালীতে চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। এতে শুধু কাযা ওয়াজিব নাকের ছিদ্র পথে কোন কিছু পেটে গেলে দাঁতের মধ্যকার কোন খাদ্য বুট পরিমাণ পেটে গেলে মুখভরা বমি মুখের ভিতরে এসে আবার পেটে গেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। এতে শুধু কাযা ওয়াজিব হবে। নিন্দ্রা অবস্থায় কেউ কিছু খাইয়ে দিলে, পেটে বা মাথার ক্ষতস্থানে লাগানো ওষুধ পেটে বা মস্তিষ্কে ঢুকলে, কানের মধ্যে দিয়ে কোন কিছু খেলে, ইফতারের সময় হয়েছে মনে করে রোজার ভুলে গিয়ে পানাহার বা স্ত্রী সম্ভোগ করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে এতে রোজা ভঙ্গ হয়ে গেছে বলে মনে করে পুনরায় এ কাজগুলো যদি কেউ করে, তাহলে কাযা ওয়াজিব হবে। : রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণসমূহ : অনর্থক কোনকিছু চিবানো, শরীয়ত সম্মত কারণ (যেমন বদরাগী স্বামী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তরকারীতে লবণ হয়েছে কিনা দেখা) ব্যতীত কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা গরম ও পিপাসা হালকা করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে বেশী পানি ব্যবহার করা, গীবত, মিথ্যা অশ্লীল কথা, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদিতে লিপ্ত হওয়া, টুথ পাউডার পেষ্ট, কয়লা বা মাজন দ্বারা দিনের বেলায় দাত পরিস্কার করা। রোজার ফিদইয়া ঃ রোযার পরিবর্তে যে সদক্বা প্রদান করা তাকে ফিদইয়া বলা হয়। শেষ পর্যায়ের বৃদ্ধ যার রোজা রাখার কোন শক্তি নাই, বা এত দূর্বল হয়ে গেছেন যে তাঁর আর ভাল হওয়ার আশা নেই। এরূপ লোকদের ফিদইয়া আদায় করতে হবে। : ফিদইয়ার পরিমাণ : একটি রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে দু’বেলা পেট ভরে খানা খাওয়াতে হবে। না হয় একটি রোজার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে সদক্বায়ে ফিতরা পরিমান গম, আটা বা শুকনো আঙ্গুর অর্ধ ‘ছা’ অর্থাৎ (পৌণে ২ সের বা ১ কেজি ৭০৬ গ্রাম) আর খোরমা, যব বা তার আটা এক ‘ছা’ (অর্থাৎ ৩ কেজি ৪১২গ্রাম) পৌনে ২ সের গম অথবা সমপরিমাণ মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ফিদইয়া আদায় করা ওয়াজিব।