স্টাফ রিপোর্টার :
বিভাগীয় শহর সিলেটের ৩ জেলায় গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাতে শ্রমিক ও স্কুলছাত্রীসহ ৫ জনের মর্মান্তিভাবে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ২ জন শ্রমিকসহ ৩ জন, মৌলভীবাজারে এক স্কুলছাত্রী ও সুনামগঞ্জে এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
প্রতিনিধিরা জানান, জেলার বানিয়াচং ও বাহুবল উপজেলায় বজ্রপাতে ২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলার তাউশি গ্রামে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হচ্ছেন- বানিয়াচং উপজেলার মুড়ারআব্দা গ্রামের রনধীর চন্দ্র দাস (৪৫), বাহুবল উপজেলার উত্তর ভবানী গ্রামের সনজু মিয়ার পুত্র মো. আবুল কালাম (৩৫)ও তাউশি গ্রামের হেনা বেগম (৩৪)। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফর অফিস সূত্র জানায়, ঘটনার সময় রনধীর চন্দ্র দাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বজ্রপাত ঘটলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। অপরদিকে আবুল কালাম বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে চুনারুঘাটে বিকেলের দিকে বৃষ্টি নামলে,শুকাতে দেওয়া ধানের খড় আনতে যান হেনা বেগম। এ সময় বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
জেলার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বজ্রপাতে লাভনী আক্তার তানজিলা (১২) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার আকিলপুর গ্রামের আব্দুর রহিম বাবুলের কন্যা এবং বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ জানায়, তানজিলা বাড়ির উঠোনে কানামাছি খেলছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে সে অজ্ঞান পড়ে যায়। পরে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে মোহাম্মদ জাফর আলী (৩৫) নামে একজন পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি গ্রামের মৃত লাল মামুদ আলীর পুত্র। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার সময় যাদুকাটা নদীর পাশ্ববর্তি গড়কাটি ভাঙ্গা নামক স্থানে নৌকা দেখতে গেলে জাফর আলী বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতের নিকট আত্মীয় মাসুদ আহমদ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জাফর আলী ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যাক্তি তার মৃতুতে তার পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। মা, স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ পরিবারের লোকজনের আহাজারীতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।