স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। অভিযোগ ওঠেছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাবি সূত্র জানায়, রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই শাবি ক্যাম্পাসের হলে অবস্থানকারী ছাত্র সংগঠনের গ্র“পগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেননা, এখন লুকিয়ে তারা হলে ও আশপাশের মেসগুলোতে অবস্থান করলেও ক্যাম্পাস খোলার পর আর ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না। হলে হলে তল্লাশি চালানো হবে। এমনকি শাবি কৃর্তপক্ষ ক্যাম্পাসের রক্তপাত বন্ধের স্বার্থে কঠোর অবস্থানে যাবে। এই সিদ্ধান্তে ছাত্রলীগেরই ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির। কেননা, ছাত্রদল-ছাত্রশিবির শাবি ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালু থাকলেও যাবে না বলে দলীয় সূত্র জানায়। ছাত্রদল-ছাত্রশিবির সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদে যাবে না, তবে তারা সিদ্ধান্তও সমর্থন করছে না।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার পরও আমাদের প্রশাসন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের কোনো বিচার করেনি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়মিকভাবে রাজনীতি বন্ধ করার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরণের সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেয়।’
ছাত্রদলের সভাপতি সৈকত শুভ বলেন, ‘একটি সংগঠনের জন্য এভাবে রাজনীতি বন্ধ করা খুবই নিন্দনীয়। আমাদের ছাত্র রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রশাসন চাইলেই তা বন্ধ করবে পারে না। আমি আশা করব প্রশাসন অতি দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে। ’
শাবি খুলবে আগামী ১৮ জানুয়ারী। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল রবিবার সিন্ডিকেটের ১৯০ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত শনিবার রাতে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে সিন্ডিকেটের সদস্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তগুলো হল- আগামী ১৮ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, ছাত্রীদের আবাসিক হল ১৭ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় খুলে দেয়া হবে, বৈধ ছাত্ররা (যারা হলে ভর্তি) আবাসিক হলে ১৮ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় প্রবেশ করতে পারবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, পোস্টারিং, মিছিল, শ্লোগান দেয়া পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, ছাত্র হল খোলার পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রভোস্টগণ হলের কক্ষগুলোতে তল্লাশি চালাবে, ক্যাম্পাাসে সকল ছাত্রছাত্রীকে পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে ১ জন বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন। এতে ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।