দিনভর দুর্ভোগের পর সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

37

স্টাফ রিপোর্টার :
দিনভর দুর্ভোগের পর সন্ধ্যায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাস ধর্মঘট। পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করে বাস মালিক সমিতি। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে দুর্ভোগে পড়েন এই রুটের যাত্রীরা।
জানা যায়, সিলেটে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত্যু ফান্ড নামে একটি তহবিল রয়েছে। যার নামে প্রতিটি বাস থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। সম্প্রতি এ চাঁদার পরিমাণ ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় উন্নীত হওয়ায় প্রতিবাদ শুরু করে সিলেট-ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সিলেট-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহণ মালিক সমিতি।
সূত্র জানায়, সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি চিন্তা করে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজলকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো ধর্মঘটের নেতৃত্বে থাকা ও অতিরিক্ত চাঁদা আদায়কারী শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর আদালতের দেয়া নির্দেশনার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদেরকে জানালে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা ধর্মঘট বিকেলে প্রত্যাহার করে নেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট ঢাকা-মহানড়ক থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের বিষয়টিও প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। অবরোধ প্রত্যাহারে আদালত থেকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে নয় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি চিন্তা করে পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। তিনি আরও জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের কল্যাণে সম্প্রতি ৩০ টাকার চাঁদা ৫০ টাকায় নির্ধারণ করেন। যার জন্য শ্রমিক ইউয়নিনের সাথে বাস মালিকদের মতবিরোধ হলে বাস মালিকরা অবরোধের ডাক দেয়।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক জানান, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বাস মালিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সংগৃহিত চাঁদা থেকে শ্রমিকরা অসুস্থ হলে বা মারা গেলে তার পরিবারকে সহায়তা করা হয়। শ্রমিকদের কল্যাণের জন্যই এ উদ্যোগ। তিনি বলেন, এই ধর্মঘটের সাথে শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের কল্যাণেই চাঁদা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সাধারণ শ্রমিকরা তা পরিশোধ করছেন, মেনে নিয়েছেন।