কাজির বাজার ডেস্ক
দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৩১ জন। এতে গত এক বছরে উপত্যকায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ১২৬ জনে এবং আহতের সংখ্যা ৯৮ হাজার ১১৭ জনে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত গাজা উপত্যকার অন্তত চারটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা এবং রকেট আঘাত হেনেছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ অনেক মৃতদেহ এবং আহত ব্যক্তি এখনও ধ্বংসস্ত‚পের তলায় চাপা পড়ে আছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর থেকে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাতের ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার মানুষ। ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আজ হামলার বছরপূর্তি হলেও এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিদিন শোনা গেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর। জাতিসংঘের হিসাবমতে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্ত‚পের পরিমাণ চার কোটি ২০ লাখ টনেরও বেশি হবে। এসব ধ্বংসস্ত‚প ২০০৮ থেকে গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা ভ‚খÐে সঞ্চিত আবর্জনার ১৪ গুণ এবং ২০১৬-১৭ সালে ইরাকের মসুলে হওয়া যুদ্ধের ধ্বংসস্ত‚পের পাঁচ গুণের বেশি।
এক বছর ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্ত‚পে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্ত‚পের নিচে এখনও ১১ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্তে¡ও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভ‚খÐে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।