কাজিরবাজার ডেস্ক :
এক নারী সংবাদ পাঠকের সঙ্গে হয়রানি ও অসদাচরণের জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে স্যরি বলে এ দুঃখপ্রকাশ করেন।
এর আগে ২৫ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ মে হাজির হতে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আসেন তিনি। সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।
ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারিতে স্ত্রী-সন্তান রেখে অপর এক নারীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের (ডিআইজি) পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত রয়েছেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে এক সংবাদ উপস্থাপিকাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হত্যার হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। হুমকির কথোপকথন সম্বলিত একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিআইজি মিজান বলেন, সাংবাদিক একজন ভদ্রমহিলার সঙ্গে আমার কনভার্সেশন (কথোপকথন) হয়েছে। এজন্য আই অ্যাম সরি। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুতরাং উনারাই (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে কোনো সম্পদ নেই। এর বাইরে আমি কোনো বক্তব্য দেব না।
দুদক সূত্র মতে, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ আসে দুদকে।
এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক। বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তার (মিজান) ডাক পড়ে।