ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, গ্রেফতার ১৪

34

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের জাফর হাসান ও একই গ্রামের এমরান হোসেন পক্ষদ্বয়ের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ১৫জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫ রাইন্ড টিআর সেল ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে জাউয়া বাজারস্থ জাফর হাসান মালিকানাধিন তালহা টেইলার্সে গিয়ে দোকান কর্মচারী রুবেল মিয়ার সাথে নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এমরান হোসেন। এক পর্যায় দোকান মালিক জাফর হাসানও এমরান হোসেনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে দুপুরে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ডাকা-ডাকি করে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ৮ রাউন্ড টিআর সেল ও ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে মধ্যস্থতাকারী মহিলা-শিশুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত আবিদ আলী (৪৩), তোয়াজ আলী (৪২), আরজ মিয়া ফলু (৩৮), জাফর হাসান (৩২), আব্দুল্লা (২৭), শাহারিয়ার বাবলা (৩০), এমদাদ হোসেন (৪০), মাসুদ লিমন (২০), আছমত আলী (২১), জামাল হোসেন (৩৮), মঈনুল(২২), জয়নুল(১৯), বদরুল ইসলাম(২৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কৈতক হাসপাতাল থেকে হাজী সুন্দর আলী, আব্দুল হান্নান, শামছুল হক, শাহ আলম, আব্দুল হেকিম, জলুর উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, জাবেদ মিয়া, মারজান, সুজন মিয়া, সুমন মিয়া, মুহিবুর রহমান, সহিদ মিয়া, ইব্রাহিম আলীকে গ্রেফতার করেছে থানা-পুলিশ। জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নুর মোহাম্মদ খাঁন ৮ রাউন্ড টিআর সেল ও ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ার কথা স্বীকার করে জানান, সংঘর্ষে জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।