কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে কারা অধিদফতর। এজন্য কারা চিকিৎসক ও সিভিল সার্জনের সুপারিশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিও দিয়েছে কারা অধিদফতর। এতে স্বাক্ষর করেছেন দুই কারা চিকিৎসক ও সিভিল সার্জন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ২৬ এপ্রিল চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কারা অধিদফতরের একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। একইভাবে কারা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও কেউ কিছু বলতে নারাজ।
অবশ্য সূত্রটি জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক আছে। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো। সবসময় কারাগারে তার পাশের কক্ষেই একজন চিকিৎসক ও নার্স থাকেন। তারপরও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি রাজধানীর দুটি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো ইউনাইডেট হাসপাতাল লিমিটেড ও অ্যাপোলো হাসপাতাল লিমিটেড।
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে সচিবালয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে এ দাবি জানান। শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে আরেকটি প্রতিনিধি দল কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে এসে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার দাবি তোলেন।
কারা অধিদফতরের চিঠি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা জানি এমন একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেছে। কিন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা তো প্রায় প্রতিদিনই চেয়ারপারসনের চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছি, তবু কোনও ফল পাচ্ছি না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের সাজা ঘোষণার পর থেকে সেখানে আছেন তিনি।
মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়। ওইদিনই দুপুর ২টার দিকে আবারও নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেওয়া হয় তাকে।