কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে অভিযান চালিয়ে সিলেট জেলা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর তপন তালুকদারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি অনটেস্ট সিএনজি গাড়ী আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার থানা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তপন তালুকদার ও কানাইঘাট থানার ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট উজ্জল রায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বোরহান উদ্দিন সড়কের বাইপাশ মোড়, রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে ১৫টির মতো বিআরটির রেজিস্ট্রেশন বিহীন অনটেস্ট অটোরিক্সা আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। নাম্বার বিহীন এসব সিএনজির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর তপন তালুকদার জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান স্যারের নির্দেশে অবৈধ রোডপারমিট বিহীন সিএনজি গাড়ী সহ অন্যান্য যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে অভিযান অব্যাহত রেখে নাম্বার বিহীন অটোরিক্সা সহ অন্যান্য যানবাহন আটক অব্যাহত রয়েছে। সিলেটের প্রতিটি থানায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। এ দিকে কানাইঘাটের অনেক অটোরিক্সা চালকরা জানিয়েছেন, তারা কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানিবাজার, জৈন্তাপুর ও হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মাসিক মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে টুকেনের মাধ্যমে অনটেস্ট সিএনজি গাড়ী চালান। হঠাৎ করে গতকাল মঙ্গলবার কানাইঘাট দক্ষিন বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড ও পৌর এলাকার কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ১৫টির মতো সিএনজি গাড়ী আটক করেন। গাড়ী আটকের পর শ্রমিক সংগঠনের নেতারা থানায় এসে নানা ধরনের কথাবার্তা বলেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে কানাইঘাট উপজেলায় অনন্ত ৪হাজারের মতো অনটেস্ট অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন থানার ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চালিয়ে আসছে অটোরিক্সার চালক, শ্রমিক সংগঠন ও ট্রাফিক পুলিশের মনোনীত দালালরা। তবে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তপন তালুকদার জানান তার জানামতে অনটেস্ট, অটোরিক্সা, সিএনজি গাড়ী থেকে ট্রাফিক পুলিশের কোন কর্মকর্তা বা পুলিশ সদস্য মাসোহারা পান না। এসব অভিযোগ সত্য নয়। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ এ ব্যাপারে পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।