স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় আধুনিক স্থাপত্যশৈলি, নান্দনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন মডেল মসজিদ এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের দাবি উঠেছে। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সিলেট মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতি উন্নয়ন প্রত্যাশী পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহবায়ক ডা. মখলিছউর রহমান।
সরকার সারা দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করায় সংবাদ সম্মেলনে সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাস্তবায়নাধীন জেলা ভিত্তিক যে মসজিদ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা ন্যূনতম ৪৩ শতক ভূমিতে স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। সে বিবেচনায় সিলেট পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভূমি উপযুক্ত স্থান। তবে ৪৩ শতক ভূমিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের একটি মসজিদ স্থাপন সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৪ একর ভূমির মধ্যে পশ্চিম দিকের ১০ একর বা ততোধিক ভূমিত মসজিদটি স্থাপনের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবি জানান।
ডা. মখলিছউর রহমান বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় বৃহৎ পরিসরে শিল্পগুণ সমৃদ্ধ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের মসজিদ নেই। তাই ধর্মপ্রাণ সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে পুরতান কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় এ সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন করলে ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক নারী-পুরুষ পৃথকভাবে নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাশাপাশি ইসলামী ধর্মকেন্দ্রীক গবেষণাগার ও গ্রন্থাগার স্থাপন এবং শিশু-কিশোরদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, সমাজসেবী ওয়াহিদ নোমানী চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক মো. বশির উদ্দিন, আইনজীবী ফজলুল হক, ব্যবসায়ী এহিয়া আহমদ, শিক্ষক আজিম উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল গফ্ফার, দুনিয়া আখেরাত পার্টি নেতা তারেক আহমদ, সাদেকুর রহমান টিপু ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।