ধর্মপাশায় পাগলা কুকুরের কামুড়ে আহত ২৫

58

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধীন মধ্যনগর এলাকায় পাগলা কুকুরের কামুড়ে ইতিমধ্যে ২৫জন আহত হয়েছেন। আহতরা ভ্যাকসিন কিনতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার মধ্যনগর থানাধীন দুগনুই, মাছিমপুর, কান্দা পাড়া, পিপড়া কান্দা, গলই খালি, বালিয়া গ্রামে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার পাগলা কুকুরের কামুড়ে কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও এলাকার কুকুরের কামুড়ে আহত ব্যক্তিরা অধিকাংশ হতদরিদ্র। তারা দিন আনে দিন খায়। তারা ভ্যাকসিন কেনতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, মাছিমপুর গ্রামের সুভা (১৬), এমদাদুল হক (২২), কান্দাপাড়া গ্রামের সমির (৩৮), বনগাঁও গ্রামের রোজিনা (২৮), কামাউড়া-কৌরাজান গ্রামের প্রায় ১০/১৫জন,চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্রামের মোস্তাক (৪৮) সহ ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ জনকে কামড়ানোর পর কামাউড়া-বনগাঁও গ্রামবাসী বেড়ীকেট দিয়ে পাগলা কুকুরটিকে মেরেফেলা হয়েছে।
কান্দাপাড়া গ্রামের কুকুরের কামুড়ে আহত সমির বলেন, আমি গরীব মানুষ ভ্যাকসিন কিনতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছি। আরেকজন সুভা বলেন, দিন আনি দিন খায়। সংসার চালানো দায়। টাকার অবাবে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কিনতে পারিনি।
মধ্যনগন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, একটি পাগলা কুকুর কিছু মানুষ কামুড় দিয়েছে শুনেছি। তবে কুকুর যাদের কামুড় দিয়েছে তারা সবাই হতদরিদ্র। এছাড়া আমার পরিষদে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা না থাকায় ধর্মপাশা সদর হাসপাতালে যাওয়া পরামর্শ দিয়েছি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মহসিন করীম বলেন, ধর্মপাশা হাসপাতালে সরকারী ভাবে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের সুব্যবস্থা না থাকায় আমরা আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পাচ্ছিনা। পাগলা কুকুরের কামুড়ের ভ্যাকসিন না দিলে সে পাগল হয়ে মানুষকে কামড়াতে শুরু করবে। আর কিছুদিন পর সে মারা যাবে। এর প্রতিকার করতে হলে এলাকায় কুকুর নিধন করতে হবে।