সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের যোগীরগাঁও পঞ্চায়েতী কবরস্থান রক্ষার দাবিতে ২০ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম্মা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের যোগীরগাঁও প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রোঃ লিঃ এর সামনে গ্রাম ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ শাহানুর, এড. নূরে আলম সিরাজী, শাবি-প্রবি’র সহযোগী অধ্যাপক শাহনূর আলম, জালালাবাদ থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এম উস্তার আলী , যুগ্ম আহবায়ক মনোহর আলী, ইউ/পি সদস্য তাজিজুল ইসলাম জয়নাল।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন এলাকার মুরুব্বি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান , আলতাব অলী, জমসিদ আলী, দিলয়ার হোসেন, কবির মিয়া, আনোয়ারুল হক, আব্দুল হক , ইদ্রীস আলী , আজাদ বক্স, মাইন উদ্দীন, আব্দুস সালাম, নূও মিয়া, আব্দুন নূর, সোয়াব আলী , মাস্টার আলী হোসেন, কালা মিয়া , মোঃ মনোয়ার খাঁন , নূরুল হক, আব্দুল হামিদ. ফজল মিয়া, আব্দুল মজিদ, মকরম আলী , শুরুজ আলী, এশাদ আলী, আব্দূল বারিক, সাইফুল ইসলাম,নজির আহমদ, মখদ্দুছ আলী , আবুল মিয়া , আফরুজ আলী, মনফর আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক বলেন প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রোঃ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাদান না করলে পরবর্তীতে এলাকাবাসী কঠোর পন্তা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে। করণ প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রোঃ লিঃ এর সকল প্রকার ময়লা ও পানি পরিশোধন না করে উন্মোক্ত ভাবে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের খালে ছেড়ে দেয়ার কারণে ময়লা পানির দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এই রোড দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীগণ ভোগান্তির শিকার হতে হচেছ। এছাড়াও যোগীরগাঁও গ্রামের কবর স্থানে ময়লা পানি প্রবেশ করার কারণে কবর স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করছে। এমন কি মানুষ মারা যাবার পর কবর খুড়তে গেলে পচা পানির গন্ধে কবর খুড়া সম্ভব হয়নি। কোন মানুষ মারা গেলে অন্যত্র দাফন করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন অত্র এলাকাতে একটি কোম্পানি হয়েছে এটা এলাকাবাসীর জন্য ভালো একটি বিষয়। কিন্তু এলাকাবাসীর র্দূভোগ বাড়বে তা কোন আবস্তাতেই মেনে নেয়া যায় না। তাই এর একটি সুরাহা কর্র্তৃপক্ষকে দ্রুত করার আহবান জানান তিনি।
ইতো পূর্বে কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসীর কয়েক দফায় আলাপ আলোচনা হয়েছে কিন্তু তারা সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ^াসই দিয়েছেন। বাস্তবে কোন উদ্যোগ নেননি। যার ফলে এলাকাবাসী গত ৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসক ও জালালাবাদ থানায় স্মারক-লিপি প্রদান করেন। গত ১৬ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরেও আরেকটি স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে মোঃ আবুল মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জালালাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জালালাবাদ থানা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেন। যার ফলে এখন মামলাটি বিচারাধিন রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি