কাজিরবাজার ডেস্ক :
ডিজিটাল আইন সাংবাদিকতা নিধন নয়, সাইবার অপরাধ দমনের জন্য করা হয়েছে। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় সচিবালয়ে সম্পাদক পরিষদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল আইন নিয়ে সম্পাদকদের অনেক দাবি যৌক্তিক। আলোচনার ভিত্তিতে আইনের সংশোধন হবে।
বৈঠকে সম্পাদকদের মধ্যে নিউজ টুডের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নিউ এজের নুরুল কবির, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম, ইনকিলাবের এ এফ এম বাহাউদ্দিন এবং ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগান্তরের সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল আলম, সংবাদের খন্দকার মনিরুজ্জামান, বণিক বার্তার দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন এবং নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করে, সেগুলোর বিস্তারিত বিন্যাস সংযোজনের মাধ্যমে প্রণয়ন করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন লাভ করেছে।
এ আইনটি পাস হলে বহুল আলোচিত তথ্য প্রযুক্তি আইন বিলোপ হবে।
৫৭ ধারা অনেক বেশি ব্যাপক এবং বিস্তৃত বলে অনলাইনে যে কোনো সমালোচনামূলক লেখনীর বিরুদ্ধেই এই ধারা ব্যবহারের সুযোগ আছে বলে সমালোচনা আছে। প্রস্তাবিত আইনে ৫৭ ধারাকে আরও সুনির্দিষ্ট করে বিভিন্ন ধারায় সংযোগী করা হয়েছে।
তবে প্রস্তাবিত আইনের বিশেষ করে ৩২ ধারা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই ধারাটির কারণে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সমালোচনা করে আসছেন সাংবাদিকরা।