বিশ্বনাথে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন ৩ সহোদর

35

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের সদস্য আবুল কালামকে ফাঁসাতে গিয়ে তার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে ২০১৫ সাল থেকে অনলাইনে কটুক্তি ও বিকৃত ছবি পোষ্ট করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে তা টাইমলাইনে পোষ্ট করা হয়। শুধু তাই নয় এদের কাছ থেকে রেহাই পাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। অসালীন ছবি পোষ্ট করে টাইমলাইনে ষ্টাস্ট্যাস দেয়ার অভিযোগ এনে এবার ৩ভাইকে অভিযুক্ত করে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল শুক্রবার ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট’র সাইবার ট্রাইব্যুনাল’র (বাংলাদেশ) বিচারক মো: সাইফুল ইসলামের নির্দেশে ৫৭ধারায় দায়েরকৃত এ মামলাটি বিশ্বনাথ থানায় এফআইআর হিসিবে গণ্য করা হয়েছে, (মামলা নং ৯)।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট’র সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধিত-১৩) এর ৫৭ ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন আ’লীগ নেতা উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মীরগাঁওয়ের বাসিন্দা আবুল কালাম (সাইবার ট্রাইব্যুনাল পিটিশন মামলা নং ৪৬/১৮ইং)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মিরেরগাঁওয়ের আব্দুল মতলিবের ছেলে আলতাউর রহমান উরফে আতাবুর তার চাচা আব্দুর রশিদের ছেলে আতিকুর রহমান ও মুজিবুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম এ প্রতিবেদককে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আবুল কালামের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলা হয়। নিজের আইডিতে ষ্ট্যাটাস দিয়ে বারবার ব্যবহারকারীকে সতর্ক ও শনাক্ত করার চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। কিছু দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক ব্যক্তিবর্গের ছবি বিকৃত করে মানহানীকর ষ্ট্যাটাস ও অশ্লীল ছবি পোষ্ট করা হয়। গত ১ মার্চ আবুল কালাম মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেননি। তবে থানায় সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং-৫৫) নেয়া হয়। পরবর্তিতে গত ১৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন কালাম, কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। অবশেষে সুপ্রীম কোর্ট সাইবার ট্রাইব্যুনালে পিটিশন মামলা দায়ের করেন তিনি।