মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা একটা সীমাবদ্ধ জায়গা। বাংলাদেশকে জানার মতো কুটনীতিকদের তেমন সুযোগ হয় না। বাংলাদেশকে জানা ও বিনোদনের জন্যই চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে তাদেরকে নিয়ে এসেছি। আমাদেরও গর্ব করার অনেক কিছু আছে, মারামারি কাটাকাটি বিরুদ্ধেও যে একটা দেশ আছে, কত সুন্দর কতকিছু আছে, পরিবেশ, গান, সংস্কৃতি ইত্যাদী দেখানোর জন্য আসা।
শুক্রবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ হোটেলে প্রেস বিফ্রিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে কতদিন থাকবে তা তার কোন তথ্য জানা নেই। রোহিঙ্গাদের নামে আন্তর্জাতিক সাহায্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু লোক আছে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিমান এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিমানের টিকিট কাটতে গেলে টিকিট পাওয়া যায় না। ৪১৯ জনের প্লেন অথচ বিমানে উঠলে দেখা যায় মাত্র ৫৩ যাত্রী। পুরো সিট খালি। কোটি কোটি টাকা বিমানকে লস দেখিযে চুরি করছেন তারা। এই চোরদের তারা শনাক্ত করতে পেরেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এক কোটি ১৬ লক্ষ প্রবাসী বিদেশে রয়েছেন। বাংলাদেশী মহিলা পুরুষদের বিদেশে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েন ভাষাগত কারণে। তারা ইংরেজিও বলতে পারে না, আরবিও বলতে পারেনা। তাই এজন্য বিদেশ যাওয়ার আগে সম্প্রতিকালে সরকার তাদের ভাষা শিখানো এবং ট্রেনিং দিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে। তবে যারা বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে তাদের জন্য সরকার আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে এবং তাদের অনেকেই দেশে আসতে চায় না।
আগত রাষ্ট্রদূতের মধ্যে ছিলেন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মরক্কো, নেপাল, আফগানিস্তান, ভুটান, ব্রাজিল,কুয়েত, কানাডা, ফান্স, তুর্কি, ইউএসএ, ওমান, জাপান, ফিলিপাইন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও পাকিস্তানসহ ৩৫টি রাষ্ট্র। এ ছাড়া উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএনডিপি, সার্ক, ব্রিমস্টেক, ইউএনএফপিএ, ইউসিকেইএফ বিডি, ইউএনএইচসিআর, ইউএসডিএসএস।
অতিথিরা গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এ্যান্ড গলফ হোটেলে পৌঁছলে তাদের বাদ্যযন্ত্র মনিপুরী নিত্যে ও ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশক মো. তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. শাহ জালালসহ প্রমুখ। বিকেলে রামনগর মণিপুরী পল্লী ও ইস্পাহানি টি কোম্পানির চা বাগান ও চা বাগানের কল-কারখানা পরিদর্শন করেন। শনিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে শ্রীমঙ্গল ত্যাগ করবেন তারা।