কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষা মন্ত্রণালয়সরকারি হাইস্কুলের পাঁচ শতাধিক সহকারী শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই শিক্ষকদের নামের তালিকাসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) প্রস্তাব পাঠাবে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫২৯ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিতে বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সহকারী শিক্ষকদের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির প্রস্তাব শিগগিরই পিএসসিতে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৫২৯ অথবা ৫২৬ জন পদোন্নতি পাবেন। বিষয়টি চূড়ান্ত করে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১০ সাল পর্যন্ত বিএড ডিগ্রি অর্জনের দিন থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। চাকরিতে যোগদানের দিন থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হতো না। এ কারণে চাকরিতে যোগদান করে নবীন শিক্ষকরা বিএড করে দ্রুত পদোন্নতি পেতেন। চাকরির যোগ্যতা হিসেবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক না থাকায় বঞ্চিত হন বিএড না করা প্রবীণ শিক্ষকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঞ্চিত শিক্ষকদের জন্য ২০১১ সালে নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়। নতুন নীতিমালায় চাকরিতে যোগদানের দিন থেকেই জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক থাকে।
এদিকে, মাউশির নতুন নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ৭৫ জন সহকারী শিক্ষক ২০১৫ সালের মার্চে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর রিটের রায় দেন আদালত। এতে বলা হয়, ২০১০ ও ২০১১ সালের নিয়োগবিধি সাংঘর্ষিক। ২০১০-এর পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের পক্ষে মত দেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আপিল করেন। গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেন।