স্পোর্টস ডেস্ক :
সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের ২টিতে অংশ নিয়ে ১৬ উইকেট শিকার করেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। এতে সিরিজ সেরাও হন তিনি। ফলে আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে সুখবরও পেলেন ব্রড। বোলারদের তালিকায় সাত ধাপ এগিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এলেন ব্রড। ৮২৩ রেটিং সংগ্রহে আছে ব্রডের। ২০১৬ সালের পর আবারও র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে উঠলেন ব্রড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পাননি ব্রড। এতে সংবাদমাধ্যমে নিজের ক্ষোভ তুলে ধরেন তিনি। অবশ্য ব্রডের ক্ষোভের পক্ষেই ছিলেন দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেই একাদশে সুযোগ পান ব্রড। সুযোগ পেয়েই ঐ টেস্টে ৬ উইকেট নেন তিনি। আর ওই টেস্ট জিতে সিরিজে সমতাও আনে ইংল্যান্ড।
তৃতীয় ও শেষ টেস্টে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেন ব্রড। ম্যাচে ৬৭ রানে ১০ উইকেট নেন তিনি। ফলে ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন ব্রড। সেই সাথে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে বিশ্বের সপ্তম বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেট শিকারের নজির গড়েন তিনি।
সিরিজে এক টেস্ট কম খেলেও, সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন ব্রড। ২ ম্যাচে ১৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। ২ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস।
র্যাংকিংএ ব্রডের উপরে আছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স ও নিউজিল্যান্ডের নিল ওয়াগনার। ৯০৪ রেটিং নিয়ে শীর্ষে কামিন্স ও ৮৪৩ রেটিং নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওয়াগনার।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ওয়াগনারকে ছাড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকছে ব্রডের। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের কোন টেস্ট সিরিজ নেই।
ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্স করেছন ব্রড। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৪৫ বলে ৬২ রান করে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে ব্রডের। ১১তম স্থানে আছেন তিনি।
আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। আর অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।