কাজিরবাজার ডেস্ক :
‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ ১ মার্চকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার ধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এ এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘জাতীয় ভোটার দিবস পালনের জন্য ১ মার্চকে ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে একটি প্রস্তাব ছিল। সেই প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
‘দিবসটি আমাদের দেশের পার্শ্ববর্তী বেশকিছু দেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়।’
ফোরাম অব ইলেকশনস ম্যানেমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়া এর চতুর্থ সভার একটি প্রস্তাবে দিবসটি পালনের নির্দেশনা আছে। এর আঙ্গিকে বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপিত হয়।
‘ভোটার দিবস’ ঘোষণার কারণ জানতে চাইলে সচিব জানান, ‘এটি আসলে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই এ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।’
‘দেশের তরুণ সমাজকে ভোটে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেও এ দিবসটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
২০১৪ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট এবং সমনাদের বর্জনের মুখে দশম সংসদ নির্বাচনের পর ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে বাধার অভিযোগ করছে বিরোধী দলগুলো।
বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপকভাবে কেন্দ্র দখল, সিল মারার মতো ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির অভিযোগ, সরকার জনগণকে ভোট দিতে দিচ্ছে না।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী ‘ভোটারা মুখ ফিরিয়ে নেয়ায়’ এই দিবসের ঘোষণা করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘না, এমন নয়। এটা বিশ্বের বেশকিছু দেশে পালিত হয় এজন্য আমাদের দেশেও দিবসটি পালনের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
প্রতিবছর ভারতে ২৫ জানুয়ারি, পাকিস্তানে ৭ ডিসেম্বর, শ্রীলংকা ১ জুন, ভুটান ১৫ সেপ্টেম্বর, নেপাল ১৯ ফেব্রুয়ারি ও আফগানিস্তানে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটার দিবস পালিত হয়।