সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে উত্তর আরপিননগর কেন্দ্রে ভোট চলাকালে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ও পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। দুপুর ২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ক্ষুব্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা স্ট্রাইকিং ফোর্সের গাড়ি ভাংচুর করে। ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। সকালে ভোট চলাকালে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর ২টার দিকে দুইপক্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের খবরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা জড়ো হয়। দুপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন পলাশ ও এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর বেলা ৩টা থেকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ জানান, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কিছু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের পুলিশ কনস্টেবলসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।