গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে আবু বক্কর সিদ্দিক এহিয়া (২০) নামে এক বিদ্যুৎ মেকানিক আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার বাঘা ইউপির রস্তমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র। নিহত বিদ্যুৎ মেকানিকের বাবা ২য় বিয়ে করার জন্য নিহতের পিতা সাইফুল ইসলাম প্রথম স্ত্রী ও ছেলে মেয়েকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেন। এর পর থেকে এহিয়া তার মা-বোনকে নিয়ে নানার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। সে পেশায় ছিল একজন বিদ্যুৎ মেকানিক। স্থানীয় ও নিহতের নানার বাড়ীর লোকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বনগাও গ্রামে তার নানা বাড়ীতে রাতের কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রতদিনের মত বৃহস্পতিবার রাতে সকলের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকালে নিহতের নানার বাড়ীর লোকজন এহিয়াকে অনেক ডাকাডাকির পরও তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রুমের দরজার একটি ছিদ্র দিয়ে দেখেন সে ফ্যানের সাথে ঝুলে রয়েছে। পরে প্রতিবেশি ও স্থানীয়দের বিষয়টি অবগত করলে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মনজুরুল একদল পুলিশ নিয়ে নিহতের রুমের দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না দতন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতারের মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে বুধবারীবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশকে জানানোর পর তারা লাশ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক বাড়ী ছাড়া ছিল। সে ও তার ভাই- বোনসহ তার মাকে তাড়িয়ে দেয় তার বাবা সাইফুল ইসলাম। এলাকার ওপর একটি সূত্র জানায়, স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে তাড়ানোর পর তিনি আরও একটি বিয়ে করে ঘর সংসার করছেন। সম্পত্তি থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ বছর যাবত তারা বাড়ী ছাড়া। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।