সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি, বিসিসি বোর্ডের পরিচালক এবং দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, মুসলিম সাহিত্য সংসদ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ অঞ্চলের শিক্ষা সংস্কৃতির গতিকে বেগবান করতে কাজ করেছে। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কেমুসাস আজ এ পর্যায়ে এসেছে। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনের শহিদদেরকে উৎসর্গকৃত এবারের কেমুসাস বইমেলা। বাংলা ভাষা আন্দোলনে কেমুসাস-এর অনেক অবদান রয়েছে। বাংলা ভাষার দাবিতে সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবন্ধ সম্ভবত ভাষার দাবিতে লিখিত প্রথম প্রবন্ধ- যা কেমুসাসের এক সভায় পঠিত হয়েছিল এবং তা সেই সময় কেমুসাসের মুখপত্র আল ইসলাহে প্রকাশিত হয়। চিত্রাংকন মেধা বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা নেতৃত্বের যোগ্যতার দিকে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আজকে যে ক্ষুদে আঁকিয়েরা এখানে প্রতিযোগিতায় এসেছে, ভবিষ্যতে যেন তারা স্বনামখ্যাত হয়, এই কামনাই করি।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় একাদশ কেমুসাস বইমেলা মঞ্চে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ‘খ’ এবং ‘গ’ গ্র“পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ-সভাপতি এবং বইমেলা উপকমিটির আহ্বায়ক আ ন ম শফিকুল হকের সভাপতিত্বে এবং বইমেলা উপকমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ মবনুর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক সিলেটের ডাকের চিফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী। পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মিনহাজুল ইসলাম হৃদয়। বিজ্ঞপ্তি।