দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছেন ——————-তথ্য কমিশনার

89

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কার্জক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ করেছেন। এ আইনের বলে দেশের জনগন যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেতে কোন বাধা থাকবেনা। যে কোন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা দেশের জনগনের মৌলিক অধিকার বলে যে কোন তথ্য দিতে বাধ্য থাকিবেন। তবে তথ্য গ্রহণকারি ব্যক্তি অবশ্যই লিখিত ভাবে যে তথ্য পেতে তিনি আগ্রহী সেই তথ্য উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে আবেদন করবেন। এ আইনের ৭ ধারায় উল্লেখিত কিছু কিছু বিষয় চাইলেই তথ্য দেওয়া যাবে না বলে সরকারি বিধি নিষেধ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের হুমকি হতে পারে এবং পররাষ্ট্রনীতি অথবা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা বা আঞ্চলিক কোন জোট বা সংঘটনের সহীত বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষুন্ন হতে পারে, কোন বিদেশী সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। তাছাড়া এ ধারায় অনেকগুলা বিষয় রয়েছে যা প্রকাশ করা যাবেনা। তিনি আশ্বস্থ করে বলেন এ আইনের যথাযথ প্রয়োগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি একেবারেই কমে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগুচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। এই লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে বিভিন্ন রকমের ১২৮ টি ভাতা দেওয়া হয়, যা ব্যয় হয় বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুনুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন। প্রশ্নত্তোর পর্বে বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খয়রুল আমীন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল, সমবায় অফিসার জামাল মিঞা, সমাজসেবা কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম, গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মনসুর আহমদ চৌধূরী, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অজামিল চন্দ্র নাথ, গোলাপগঞ্জ রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাসান কাওসার, সাংবাদিক রতন মনী চন্দ্র,জাহেদুর রহমান জাহেদ, এনামুল হক এনাম, মাহফুজ আহমদ চৌধূরী,আব্দুল আহাদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্য একে এম ফজলুল হক শিবলী, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ফনিন্দ্র চন্দ্র সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন, ঢাকাদক্ষিণ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল অনুরঞ্জন দাস, কোষাধ্যক্ষ রতন মনী চন্দ,গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, স্কুল কলেজের শিক্ষকসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সেক্রেটারীরা অংশগ্রহণ করেন।