কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে :
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় দিবসটি উদযাপন করেছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার (৫আগষ্ট) বিকেলে দূতাবাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব তাহসিনা আফরিন শারমিনের সঞ্চালনায় শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার (বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি)। অনুষ্ঠানে “শেখ কামাল” স্বাধীন বাংলার সমাজ পরিবর্তনের হারিয়ে যাওয়া নায়ক শীর্ষক পাঠ ও বক্তব্য দেন মিশন উপপ্রধান হারুন আল রশিদ, প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রেদোয়ান আহমেদ।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, শহীদ শেখ কামাল বাংলাদেশের এক অনন্য ক্রীড়া সংগঠক যিনি আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলেন। দূরদর্শিতা আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে ফুটবলে তিনি রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন গোটা উপমহাদেশে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক। সংস্কৃতিমনা এই মানুষটি ছায়ানটে সেতার বাজাতেন,গান গাইতেন, ক্রিকেট খেলতেন। তিনি ছিলেন সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল,অসাধারণ মানুষ।তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো বর্তমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতেন, গড়ে তুলতেন আধুনিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ।
হাসান মাহমুদ খন্দকার আরো বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সঙ্গে শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে একজন ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সংস্কৃতিমনা প্রচণ্ড সম্ভাবনাময় মানুষকে হারিয়েছে। রাষ্ট্রদূত শেখ কামালের দূরদর্শিতা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অতুলনীয় অবদান, সাংগঠনিক নেতৃত্ব এবং তার স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার নানা বিষয় তুলে ধরে ব্যাক্তিগত কিছু মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শেখ কামালের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও ১৫ আগষ্টে ভয়াল কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।