জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র মোজাম্মেল হোসেনের হত্যা ও মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের উপর ভন্ড সন্ত্রাসী কর্তৃক ওয়াজ মাহফিলে অতর্কিত হামলা করে মাদ্রাসা ছাত্র মোজাম্মেলকে নির্মমভাবে হত্যা এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শায়খ বায়মপুরী, হরিপুরী স্মৃতি বিজড়িত জৈন্তার মাটিতে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। প্রশাসনের উদাসীনতায় এখন পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। আলেম-উলামাদের উপর এ জাতীয় ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশবাসী কখনও মেনে নেবে না। মানুষের ধৈর্য্যশক্তির বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া মশকিল হবে। তাই অবিলম্বে মোজাম্মেল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করুন। অন্যথায় সারাদেশে যে আন্দোলন গড়ে উঠবে তার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি আলেম-উলামাদের উপর নির্যাতন এবং নিরীহ ছাত্র হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভন্ড, সন্ত্রাসীরা এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।
গতকাল ৩ মার্চ শনিবার জামেয়া মাহমুদিয়া সোবহানীঘাট মাদ্রাসায়, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ কর্মী সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মতিন ধনপুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি শায়খুল হাদীস মনসুরুল হাসান রায়পুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা যুগ্ম আহবায়ক কাজী আব্দুস সালাম রশিদী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সহ-সভাপতি মুফতি মাওলানা আলতাফুর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা হাফিজ আহমদ কবির, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মাওলানা আব্দুল মছব্বির, মাওলানা ইব্রাহীম সালুটিকরী, সৈয়দ মোতাহির আলী, হাফিজ মাহমুদুল হাসান, হাফিজ আহমদ ছগির, মাওলানা মাহমুদ হোসেন বড়বন্দী, মাওলানা রফিক আহমদ মহল্লী, মাওলানা হেলাল আহমদ, মাওলানা ছিফাত উল্লাহ, এম. বেলাল আহমদ চৌধুরী, হাফিজ শিব্বির রাজী, মিজানুর রহমান মামুন, হাফিজ খলিল উল্লাহ, হাফিজ আব্দুল হাই প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি