গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
নিজের গর্ভধারিণী মা’কে মারধর করার অভিযোগে গোয়াইনঘাট উপজেলা যুব লীগের এক নেতাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত বুধবার মধ্য রাতে উপজেলা সদরের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আহমেদ মোস্তাকিন। সে উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী সিরাজুন নেছা প্রায় দুই বছর আগে তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি আহমেদ মোস্তাকিন সহ তিন ছেলের মধ্যে সমান অংশে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। এরপর থেকে আহমেদ মোস্তাকিন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তার নিজের বাসা ভাড়া দিয়ে সিলেট শহরের টিলাগড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। অন্য দিকে মোস্তাকিন তার মা’য়ের ভরণ পোষণ না করায় সিরাজুন নেছা তার অন্য দুই প্রবাসী ছেলের বাসায় বসবাস করেন।
সম্প্রতি সিরাজুন নেছা তার বড় ছেলের বসত ঘরের সামনে লাকড়ি রাখার জন্য একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে ছেলে আহমেদ মোস্তাকিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের নির্মাণ কাজে বাধা দেন। এমনকি তার মা কে অশালীন ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোস্তাকিন কাঠের টুকরা দিয়ে তার মা কে আঘাত করে। কাঠের টুকরার আঘাতটি তার মায়ের পিঠে লেগে তিনি আহত হন। এ সময় সিরাজুন নেছার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ছেলের মার ধরে আহত মা সিরাজুন নেছা বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে ছেলের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহমেদ মোস্তাকিনকে আটকের পর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় জানান, ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার আহত মা সিরাজুন নেছা বাদী হয়ে ছেলে যুবলীগ নেতা মোস্তাকিনের বিরোদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।