সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন- দেশ জাতি চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। বাকশালীদের হিংস্র থাবায় দেশের গণতন্ত্র আজ ক্ষত-বিক্ষত। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সিলেট মহানগর এবং প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সুসংহত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বিভেদ ভুলে দলীয় কার্যক্রমে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের বিধ্বস্ত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারান্তরীণ দেশের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
রবিবার সিলেট মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব এম. এ হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব এম. এ হক বলেন- আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট তাবেদারী সরকার আবারো বিনাভোটের প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে গদি দখলের ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গণতন্ত্রের মা, তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারাগারে আটকে রেখেছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা বেচে থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন- দেশ ও দেশের মানুষ আজ ভাল নেই। গণতন্ত্রের ফিনিক্স পাখি আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ ভাল থাকতে পারে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া একই সূত্রে গাঁথা। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে হবেনা। হতে দেয়া হবে না। সময়ের অপরিহার্য দাবীর প্রেক্ষিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
জরুরী সভায় মহানগর বিএনপির উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জেবুল হাসান ফাহিম, ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, ৩নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ, ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সেলিম জালালাবাদী, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান খোকন, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি লুৎফুর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি লল্লিক আহমদ চৌধুরী, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল হাদী মাসুম, ৯নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, ১০নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাজী সাইদুর রহমান বুদুরি, ১১নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমিনুর খোকন, ১২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আফতাবুর রহমান বকুল, ১৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ, ১৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান দীপন, ১৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শেখ মু. ইলিয়াস আলী, ১৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, ১৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল কাহির, ১৮নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ তারেক, ১৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মওদুদুল হক, ২০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার, ২১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলার আব্দুর রকিব তুহিন, ২২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফাত্তাহ বকশী, ২৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান মামুন, ২৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমদ, ২৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোতাহির আলী মাখন, ২৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ রনি, ২৭নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল রঞ্জন চন্দ, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পুতুল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা নিগার সুলতানা ডেইজী, জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন মাসুম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি