পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

3
British Prime Minister Boris Johnson awaits results at the counting centre in Britain's general election in Uxbridge, Britain, December 13, 2019. REUTERS/Toby Melville

কাজিরবাজার ডেস্ক :
পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নিজ দলের মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ ও এমপিদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সরকারপ্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এদিন ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি বাসভবনের দরজায় দাঁড়িয়ে জনসন জানান, সহকর্মীদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন এ কনজারভেটিভ নেতা।
এর আগে অবশ্য পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন বরিস জনসন। বলেছিলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। তাই আমি পদত্যাগ করবো না। তাছাড়া আমার প্রতি বড় ম্যানডেট রয়েছে।
তবে এরপর একযোগে ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করলে জনসন সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। শেষপর্যন্ত দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।
তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবনের দরজায় দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন। এ কারণে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত।
জনসন বলেন, পৃথিবীর সেরা চাকরি ছেড়ে দিতে হওয়ায় আমি দুঃখিত। তবে এটি বিরতি।
তিনি বলেন, আমরা এত কিছু দিচ্ছি, এত বিশাল ম্যান্ডেট রয়েছে, যখন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনীতির পরিস্থিতি ভালো নয়, তখন সরকার পরিবর্তন করা উদ্ভট ব্যাপার। আমার আফসোস হচ্ছে, বিতর্কে জিততে পারিনি।
জনসন আরও বলেন, রাজনীতিতে কেউই অপরিহার্য নয়। আমাদের উজ্জ্বল এবং ডারউইনীয় ব্যবস্থা অন্য নেতা তৈরি করবে।