ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যেই সিলেটে হবে ভারতীয় হাই কমিশনের শাখা অফিস। এখান থেকেই সিলেটের লোকজন সহজে ভিসা নিতে পারবেন। তাদেরকে আর ঝামেলা পোহাতে হবেনা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে সেটি দিন দিন আরো উন্নত হচ্ছে। দুই দেশই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে একযোগে কাজ করছে। হাই কমিশনার শুক্রবার সিলেটের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) মন্দির আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বিজ গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মাশিয়াল সেকেন্ড সেক্রেটারি শিশির কটারী, সিলেটের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবজিৎ সিনহা, যুগলটিলা আখড়া কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দেবাশীষ সেন, ইসকন বাংলাদেশের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জগৎগুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটর্স জার্নালিষ্ট কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। সে সময় হাতে হাত মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনারাও। এখনো বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সেই ভালবাসা অব্যাহত আছে।
হাই কমিশনার বলেন, ইসকন সদস্যদের যে আদর্শ সেটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রতিটি ইসকন সদস্য দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সেটি খুবই ভাল একটি উদ্যোগ। তিনি সিলেট ইসকন মন্দিরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ঘুরে দেখেন। ভারতের অর্থায়নে ইসকন মন্দিরের নির্মাণাধীন ছাত্রাবাসের জন্য এককোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। পরে হাই কমিশনার ইসকন মন্দির ঘুরে দেখেন। নিমার্ণাধীন ছাত্রাবাসের কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে- হাই কমিশনার পুরো ভবন নির্মাণের জন্য ৭ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। বিজ্ঞপ্তি