এবার ছড়া উদ্ধার অভিযানে মাঠে নেমেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দিনভর মদীনা মার্কেট থেকে লামাবাজার সরষপুর পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে অভিযানে ভাঙ্গা হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। বর্ষায় যাতে নগরবাসী জলাবদ্ধতায় নাকাল হতে না হয় সেজন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান শেষে সিসিক মেয়র জানান, ‘বর্ষা শুরু হলেই নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর ছড়া খাল ছেড়ে দেওয়ার জন্য সিসিক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনেকেই নির্দেশনা অনুযায়ী স্ব-উদ্যোগে খাল ও ছড়ার জমি ছেড়ে দেন। আর যারা সময় দেওয়ার পরও ছড়া খালের জমি ছাড়েননি তাদের ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার মদীনা মার্কেট থেকে লামাবাজার সরষপুর এলাকায় বেশ কয়েটি ভবন ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হয়।
মেয়র জানান,“ মদীনামার্কেট এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবনের বর্ধিত অংশ ভাঙ্গা হয়েছে। এসব ভবন ভাঙ্গার ফলে ছড়া ও খাল অনেকটা প্রশস্ত হয়েছে। এখন বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনেকটা কমে যাবে”। এর আগে নগরীর ছড়া ও খাল কিছুটা মুক্ত করায় গত কয়েক বছর নগরীতে জলাবদ্ধতা হয়নি বলেও জানান মেয়র।
সকালে মদীনা মার্কেট এলাকায় অভিযানের পর দুপুরে লামাবাজার এলাকায় ছাড়া খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সরষপুর এলাকার ছায়ানীড় ১৬/২ ব্যবসায়ী আব্দুল গণির বাড়ির তিনতলা ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়।
সিসিক সূত্র জানায়, ৫৬ সালের রেকর্ড অনুযায়ী গনি মিয়ার বাড়ির বেশ কিছু অংশ খালের উপর পড়েছে। তাই খাল থেকে ৪ ফুট ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে লক্ষে ওই ভবন ভাঙ্গা শুরু করা হয়েছে বলে সিসিক’র সার্ভেয়ার বেনু শর্মা জানান। ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ছড়া ও কারেল উপর তৈরী করা হয়েছে। মেয়রকে এসব ভবনের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
দুপুরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সরষপুর এলার ছাড়া উদ্ধার অভিযানে যান। সেখানে তিনি নিজ হাতে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলেন। পরে একই এলাকার সৈয়দ প্লেস ছায়ানীড় ১৬/১ নম্বর বাসার মালিকের খোঁজে বাড়ির ভেতরে ঢুকেন মেয়র। তিনি বাসার মালিককে না পেয়ে কেয়ারটেকারকে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। পরে মেয়র নিজেই মোবাইল ফোনে বাড়ির কিছু অংশ খালের উপর পড়েছে বলে জানান। তিনি স্ব-উদ্যোগে খালের জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় তার সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি