খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

19

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ের কাছ থেকে ঝটিকা মিছিল বের করেছে বিএনপি। দুদিনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের পর শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সোমবার মানববন্ধন ও পরদিন মঙ্গলবার অবস্থান। তারও পর দিন আগামী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, আবদুল হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল কবির, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি জানিয়ে রিজভী বলেন, অবস্থান কর্মসূচি হবে এক ঘণ্টা। জেলাগুলো সুবিধামত সময়ে তা করবে। ঢাকার অবস্থান স্থান পরে জানানো হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে দলীয় নেতাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে শাস্তি দিয়ে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপি ২ দুদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছিল। পুলিশের বাধার মুখে ওই কর্মসূচি ঠিকভাবে পালন করতে না পারার পর নতুন কর্মসূচি দিল দলটি। এছাড়া করণীয় নির্ধারণে শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নবীউল্লাহ নবী, যুবদলের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান জিমি, অলিউদ্দিনসহ ৫০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৩ জন, নেত্রকোনায় ৫ জন, চট্টগ্রাম উত্তর ও গাইবান্ধায় একজন করে, পিরোজপুরে ৩ জন, টাঙ্গাইলে ৬ জন, ফেনীতে ২ জন, কুমিল্লায় ১১ জন, নাটোরে ১৫ জন, ভোলায় একজন, নড়াইলে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ফকিরাপুল পৌঁছালে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। শনিবার বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ফকিরাপুল পৌঁছালে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
গত ৩০ জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, সরকার মনে করেছে, বন্দি করে দেশনেত্রীর মনোবলকে দুর্বল করবে, তার বিরুদ্ধে আরও ষড়যন্ত্র করবে। এটা পারবেন না। জনগণের নেত্রী তার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য যেখানে থাকুন, সেখান থেকে অটুট মনোবল নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন অব্যাহতভাবে। সেজন্য আমরা এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।