কাজিরবাজার ডেস্ক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। এ রায়ের পর ঢাকার রাজনীতিতে চলছে নতুন হিসাব। আলোচনা-পর্যালোচনা। আর এ বিষয়টিতে ঢাকার ওপর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দিল্লি। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেশী এ দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না ভারত। এ দেশটিতে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে চীন অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এ বিষয়টি পুরোপুরি খুব ভালভাবে জানে ভারত। তা সত্ত্বেও তারা এমন অবস্থান নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা বিদেশী সাহায্যের ২.১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজন। এ অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে বাংলাদেশের দুর্নীতি বিরোধী কমিশন ২০০৮ সালের জুলাই মাসে। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে এ মামলায় ৫ বছরের জেল দিয়েছেন। তার ছেলে তারেক রহমান ও অন্য চারজনকে ১০ বছরের জেল দিয়েছেন। এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। কারণ, আইন অনুযায়ী ৫ বছরের জেল হওয়ার কারণে খালেদা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। এটা যদিই হয় তাহলে তা হবে অবশ্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিরাট রাজনৈতিক অর্জন। তবে আওয়ামী লীগও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরো লিখেছে, এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতের সাবেক এক হাই কমিশনার বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়া একটি ‘ট্রিকি’ পরিস্থিতি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মিত্র বলে সুপরিচিত। ওই কূটনীতিক বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না ভারত। এখন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে কিনা তাই পর্যবেক্ষণ করছে দিল্লি।