পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে বাধা দেয়ায় ডাকাত দলের গুলিতে একজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পতনঊষার ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীসূর্য্য গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় ৮/১০ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পূর্ব শ্রীসূর্য্য গ্রামের আব্দুল হামিদ ওরপে লুাকছ মিয়া বাড়ীতে প্রবেশ করে। ডাকাতরা বারান্দার গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায়। এ সময় গৃহকর্তা আব্দুল হামিদ দরজা খুলে লাঠি দিয়ে বাধা দিলে ডাকাত দলের গুলিতে তিনি আহত হন। পরিবারের লোকজন জেগে উঠে হাল্লা চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল ডাকাতি করতে না পেরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পালিয়ে যায়। ডাকাতদলের গুলিতে আব্দুল হামিদের বামহাত গুলিবিদ্ধ হয়। বুধবার রাতেই আহত আব্দুল হামিদকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আব্দুল হামিদের বড়ভাই আব্দুল মানিক। আহত আব্দুল হামিদ পতনঊষার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলীর ভাতিজা। খবর পেয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: আব্দুল মোকতাদির পিপিএম এর নেতৃত্বে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরী, এসআই আবু সায়েম মো: আং রহমানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা: আব্দুল হান্নান চিনু বলেন, ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ। চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনকে আরো তৎপরতা বাড়াতে অনুরোধ জানান। পতনউষারের বাসিন্দা ফয়সল আহমদ বলেন, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি দিন দিন। কয়েকদিন আগেও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাহাব উদ্দীনের বাড়িতে ডাকাতি হয়। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানান। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিদ্ধেশ্বর ভট্টাচার্য্য সুমন বলেন, মা-বোন নিয়ে কি করে থাকবে গ্রামের মানুষ? পতনঊষার ইউনিয়নে ডাকাতি মামলায় যাদের আগে নাম ছিল, সকলকে পুলিশ ধরতে হবে, তবেই নতুন ডাকাত নাকি পূরণ ডাকাত সব চলে আসবে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: আব্দুল মোকতাদির পিপিএম বলেন, শ্রীসূর্য্য গ্রামে ডাকাতির চেষ্টাকালে একজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সত্যতা শিকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তিনি আরো বলেন, অপরাধী যেই হোক কোন ছাড় পাবে না। ইতিমধ্যে আইন শৃংখলার উন্নয়নে বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আইন শৃংখলার উন্নয়নে পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।