হবিগঞ্জে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০

12

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে শায়েস্তানগর এলাকায় জেলা ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছের ছেলে ব্যারিস্টার মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রীতম, ভাই জি কে গফফার ও তার ছেলে আদনান ফারহাদ রাফিদসহ অন্তত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শায়েস্তানগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ রাস্তায় অবস্থান নিলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
পরে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরাও এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ এলে নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বেশ কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত কনস্টেবল মো. রিয়াজকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ জানান, তার বাসা থেকে ভাই, ছেলে ও ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষ রাস্তায় হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। কিন্তু নিরপরাধ লোকদের কেন আটক করা হচ্ছে?’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, পুলিশ নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে ভেতরের রাস্তায় কর্মসূচি পালন করার জন্য বলে। কিন্তু তারা বাধা উপেক্ষা করে মেইন রোডে গাড়ি চলাচলে বাধা দেয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাফরোজা আক্তার শিমুল জানান, ‘পুলিশ রাস্তায় অবস্থান করছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়’।