দারিদ্র্যতার কারণ ও প্রতিকার

74

॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

(পূর্ব প্রকাশের পর)
“ফলকথা সংসারের মোহ হইতে হৃদয়ের আকর্ষণ ছিন্ন করতঃ উহা হইতে সম্পূর্ণ অনাসক্ত ও নির্লিপ্ত থাকাই বৈরাগ্যের লক্ষণ। অর্থাৎ সংসারের অন্বেষণে ব্যস্তও হইয়া পড়িবে না কিংবা সংসার ত্যাগ করিয়া জঙ্গলের দিকে পলায়নও করিবে না; সংসারের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া সর্বদা সর্বক্ষেত্রে উহার প্রতিকূল আচরণও করিবে না কিংবা সন্ধিসুলভ মনোভাব লইয়া সংসারের সহিত অঙ্গাঙ্গিভাবে মিশিয়াও থাকিবে না। সংসারকে লোভনীয় জ্ঞানে ভালও বাসিবে না কিংবা বর্জনীয় জ্ঞানে শক্রুও মনে করিবে না”। “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৭” এ পৃথিবীর জীবন যাপনে মধ্যপন্থা অবলম্বনই করাই শ্রেয়। আল্লাহ্ বলেন: “এইভাবে আমি তোমাদিগকে এক মধ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি, যাহাতে তোমরা মানবজাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হইবে”। “আল-কুরআন, ২:১৪৩”
‘যাহিদ’ ব্যক্তিগণ শুধু শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম বস্তুই পরিহার করে চলেন না, আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের জন্য এমন কি হালাল বস্তু ভোগেও নিরাসক্ত হন। ইহকালে তাঁদের জীবনে “ৎবষরমরড়ঁং সড়ঃরাবং ধৎব সড়ৎব রহঃবহংব ঃযধহ বপড়হড়সরপ” “গধৎংযধষষ, অষভৎবফ, চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ঊপড়হড়সরপং, খড়ফহড়হ: ঊরমযঃ ঊফরঃরড়হ, ঞযব ঊহমষরংয খধহমঁধমব ইড়ড়শ ঝড়পরবঃু ধহফ গধপসরষষধহ ্ ঈড় খঃফ, ১৯৬২, ঢ়.ষ.” এবং মানুষের অর্থনৈতিক জীবনাচরণের পাশ্চাত্যের সনাতন অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা এখানে অচল। পার্থিব জীবনের প্রতি ‘যাহিদ’-এর দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে যেয়ে ইমাম গাযালী (র.) বলেন:
“মানব জাতি সংসাররূপ জেলখানায় আসিয়া বন্দী হইয়া পড়িয়াছে। এই জেলখানায় আপদ-বিপদ ও দুঃখ-কষ্টের অন্ত নাই। মানব জাতিকে এই বন্দীখানায় অবস্থানকালে অসংখ্য বিপদ-আপদ ভোগ করিতে হয়। উক্ত বিপদরাশির মধ্যে জীবন যাপনের জন্য মানবজাতি বিশেষ করিয়া ছয় প্রকার দ্রব্যের মুখাপেক্ষী হইয়া থাকে। (ক) অন্ন বা আহার্যদ্রব্য, (খ) বস্ত্র; (গ) বাসগৃহ, (ঘ) গৃহের আসবাবপত্র, (ঙ) পতœী, (চ) ঐশ্বর্য ও সম্মান। সাংসারিক জীবনের এই ষড়বিধ পদার্থ মানবজাতির জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয় ও একান্ত আবশ্যকীয়”। “ইমাম গাযালী, কিমিয়ায়ে সাআদাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৭”।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে জীবনধারণের এ পার্থিব তালিকা সর্বজনীন; কিন্তু সর্বজনীন এ বিষয়গুলোর ব্যবহারগত দৃষ্টিভঙ্গি একজন ‘যাহিদ’ অপরাপর সাধারণ মানুষ, যাদের অর্থনৈতিক জীবন ব্যাখ্যায় সনাতন অর্থনীতিকে বলা হয়: “ঊপড়হড়সরপং রং ধ ংঃঁফু ড়ভ সধহশরহফ রহ ঃযব ড়ৎফরহধৎু নঁংরহবংং ড়ভ ষরভব; রঃ বীধসরহবং ঃযধঃ ঢ়ধৎঃ ড়ভ রহফরারফঁধষ ধহফ ংড়পরধষ ধপঃরড়হ যিরপয রং সড়ংঃ পষড়ংবষু পড়হহবপঃবফ রিঃয ঃযব ধঃঃধরহসবহঃ ধহফ রিঃয ঃযব ঁংব ড়ভ ঃযব সধঃবৎরধষ ৎবয়ঁরংরঃবং ড়ভ বিষষনবরহম” “গধৎংযধষষ, অষভৎবফ, চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ ঊপড়হড়সরপং, ও ন ও ফ, ঢ়. ষ.” এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পার্থিব জীবনে জীবনধারণের এ সর্বজনীন তালিকা একজন ‘যাহিদ’ কিভাবে ব্যবহার করেন এবং কোন দৃষ্টিতে দেখেন তা বিশ্লেষণ করলেই সাধারণ সংসারি মানুষ থেকে ‘যাহিদ’-এর পার্থক্য বুঝা যাবে “ইমাম গাযালী, কিমিয়ায়ে সাআদাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৭-১৭৭”।
ক. অন্ন বা আহার্য দ্রব্য: আহার্য দ্রব্যের মধ্যে যারা চাল, গমের আটা, ময়দা, সুজি, চিকন চাউলের অন্ন আহার করে তারা সংসার বিরাগী নয়; তারা শরীরসেবী এবং আরামপ্রিয় বলে আখ্যায়িত। যে ব্যক্তি যত নিচুমানের খাদ্যে পরিতৃপ্ত থাকেন তিনি ততোধিক ‘যাহিদ’ বা সংসার বিরাগী। ‘যাহিদ’ ব্যক্তির আহার্য দ্রব্যের পরিমাণের তিনটি স্তর নির্ধারিত। কমের মধ্যে দৈনিক আনুমানিক এক পোয়া। মধ্যম, পরিমাণ দৈনিক অর্ধ সের এবং সর্বোচ্চ পরিমাণ এক সের। এর মধ্যে যাঁরা সর্বোচ্চ পরিমাণ আহার্য গ্রহণ করেন, তারা সাধারণ পর্যায়ের ‘যাহিদ’। কিন্তু যারা এ সর্বোচ্চ পরিমাণের ঊর্ধ্বে আহার করেন, তারা উদরসেবী ও আরামপ্রিয়- ‘যাহিদ’ নন।
‘যাহিদ’ কি পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য সঞ্চয় করে রাখতে পারে তাও নির্ধারিত। এক বেলার খাদ্য সঞ্চয়ে রাখা উন্নত শ্রেণীর ‘যাহিদ’ বা পরহেযগারীর পরিচায়ক; এর অধিক খাদ্য সঞ্চয়কারী উন্নতস্তরের ‘যাহিদ’ নয়। ত্রিশ থেকে চল্লিশ দিনের খাদ্য যে সংগ্রহে রাখে সে মধ্যম শ্রেণীর ‘যাহিদ’। আর সর্বনিচু পর্যায়ের ‘যাহ্দি’ এক বছরের আহার সঞ্চয়ে রাখা। এক বছরের অধিক কালের জন্য খাদ্য সঞ্চয়কারী ‘যাহ্দি’ নয় কারণ সে এক বছরের অধিক কাল বাঁচার আশা রাখে।
“রসূলুল্লাহ্ (স.) নিজের পরিবারবর্গের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয়পূর্বক তাঁহাদের হাতে সমর্পণ করিতেন। কেননা, তাঁহাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করিতে পরিতেন না। কিন্তু তিনি নিজের জন্য রাত্রির আহার্যও দিবসে সংগ্রহ করিয়া রাখিতেন না”। “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৮” রুটি বা অন্নের সাথে সিরকা বা শাক নিতান্ত নিচু মানের ব্যঞ্জন বলে তা উন্নত শ্রেণীর ‘যাহিদ’-এর খাদ্য। তৈল বা তৈল-পক্ক দ্রব্য মধ্যম শ্রেণীর ব্যঞ্জন। গোশত উৎকৃষ্ট শ্রেণীর ব্যঞ্জন এবং প্রবৃত্তির লোভনীয় খাদ্য যা অবিরত খেলে যাহিদ-এর উচ্চমান বিনষ্ট হয়। সপ্তাহে দুই একবার গোশত খাওয়া যেতে পারে। ‘যাহিদ’ ব্যক্তির পক্ষে দিন ও রাতের মধ্যে এক বেলার বেশি আহার করা সঙ্গত নয়। এক দিনে দু’বার আহার করলে যাহিদ-এর মান ধরে রাখা যায় না। ‘যুহ্দ’ বিষয়ে সম্যক্ ধারণা লাভের জন্য নবী করীম (স.) ও তাঁর সাহাবাদের জীবন প্রণালী অনুসরণই যথেষ্ট। আয়েশা রা. বলেছেন: রসূলুল্লাহ্ (স.) এর পারিবারিক জীবনের অবস্থা কখনও কখনও এমন হইত যে, ক্রমাগত চল্লিশ দিন ধরিয়া তৈলের অভাবে তাঁহার গৃহে রাত্রিকালে প্রদীপ জ্বলিত না এবং খোরমা ও পানি ব্যতীত অন্যবিধ কোন পাকান খাদ্য আহার করিতে পাওয়া যাইত না। “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৮”
খ. পরিধেয় বস্ত্র: ‘যাহিদ’ ব্যক্তিকে কেবল একান্ত প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্রেই পরিতৃপ্ত থাকতে হয়, এর বেশী নয়। সাধারণ শ্রেণীর ‘যাহিদ’-এর জন্য দু’টি লম্বা পিরহান, একটি টুপি, এক জোড়া জুতা এবং এর সাথে দু’টি পায়জামা ও একটি পাগড়িই যথেষ্ট।
“রসূলুল্লাহ্ (স.) এর ইন্তিকালের পর আয়েশা (রা.) একখানা সূতীর মোটা তহ্বন্দ ও একখানি পশমী কম্বল বাহির করিয়া বলিয়াছিলেন-‘ইহাই রসূলুল্লাহ্ (স.) এর সাকুল্য পোশাক” “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৯” হাদীসে উল্লেখ আছেÑ “যে ব্যক্তি জাঁকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণ পরিচ্ছদ পরিধান করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্যে বিনয় ও নম্রতা অবলম্বনে তদ্রƒপ পরিচ্ছদ পরিধান না করিয়া দীন-হীন পোশাক পরিধান করে, তবে তৎপরিবর্তে তাহাকে পরকালে বেহেশতের বিচিত্র কারুকার্যময় সুন্দর পোশাক ইয়াকুত প্রস্তর নির্মিত নৌকার মধ্যে বোঝাই করিয়া দান করা আল্লাহ্র উপর তাহার প্রাপ্য দাবিরূপে অবধারিত হইয়া পড়ে”। “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৯”
গ. বাসগৃহ: ঝড়-বৃষ্টি ও শীত-গ্রীষ্ম থেকে আত্মরক্ষার জন্য বাসগৃহের প্রয়োজন হলেও সেটা এমন অস্থায়ী হওয়া উচিত যেন এই অস্থায়ী সংসারে যুহদ অবলম্বনে তা বাধার কারণ না হয়। যাহিদ ব্যক্তির জন্য বাড়ি অনাবশ্যক উঁচু বা প্রশস্ত ও জাঁকজমকপূর্ণ হলে তাঁরা জাহিদ শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত থাকবেন না। মূলত, কেবল ঝড়-বৃষ্টি ও শীত-গ্রীষ্ম হতে আত্মরক্ষার জন্যই নিবাস নির্মিত হবে, ধনৈশ্বর্য ও জাঁকজমকের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের জন্য নয়। হাসান (রা.) বলেছেন- রসূলুল্লাহ্ (স.) এর বাসগৃহগুলো এতটা উচ্চ ছিল যে, একজন মানুষ মেঝের উপর দাঁড়াইয়া হাত উঁচু করিলে গৃহগুলোর ছাদ স্পর্শ করিতে পারিত”। ‘‘প্রাগুক্ত পৃ.১৭২’’ “যে ব্যক্তি আবশ্যকের অতিরিক্ত গৃহ নির্মাণ করিবে-কিয়ামতের দিন তাহাকে আদেশ করা হইবে, এই গৃহ মাথায় লইয়া দাঁড়াও। কিন্তু শীত-গ্রীষ্ম হইতে আত্মরক্ষার জন্য যত বড় গৃহের একান্ত প্রয়োজন তত বড় গৃহ নির্মাণ করিলে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে না। “প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭২”
ঘ. গৃহের আসবাবপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য: ‘যাহিদ’ হিসেবে ঈসা (আ.) এর জীবন ধারণ পদ্ধতিই সর্বোত্তম। তিনি সঙ্গে একটি চিরুনি ও একটি পান-পাত্র রাখতেন। একদিন এক ব্যক্তিকে হাতের আঙ্গুল দিয়ে দাড়ি আঁচড়াতে এবং অঞ্জলি ভরে পানি পান করতে দেখে চিরুনি ও পানপাত্রটি বর্জন করেন। ‘‘প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭৩।’’ নবী করীম (স.) একটি চামড়ার তৈরি খোলের ভেতর খেজুর গাছের সরু আঁশ ভর্তি বালিশ ও একটি পশমী কম্বল রাখতেন। পশমী কম্বলটি দু’ভাঁজ করে তাঁর শয্যা রচনা হতো। একদিন নবী করীম (স.) এর পাঁজরে খেজুর পাতার তৈরী চাটাইয়ের দাগ অঙ্কিত দেখে উমর (রা.) কাঁদতে কাঁদতে বললেন, রোম দেশের ‘কায়সার’ এবং পারস্য দেশের ‘কিসরা’ উপাধিধারী কাফের বাদশাহ্গণ আল্লাহ্র শত্র“ হয়েও তাঁর প্রদত্ত ভুরি ভুরি নেয়ামতের মধ্যে ডুবে রয়েছে। আর আপনি আল্লাহ্ তাআলার বন্ধু এবং তাঁর প্রেরিত রসূল হয়েও এমন কঠিন দু:খ-কষ্ট ভোগ করছেন। তখন নবী করীম (স.) উমর (রা.) কে সান্ত্বনা দিবার জন্য বললেন: উমর! তুমি কি একথা শুনে সন্তুষ্ট হবে না যে, তাদের ভাগ্যে শুধু এই নশ্বর পৃথিবীর ধন-সম্পদই রয়েছে। আর আমাদের জন্য অবধারিত রয়েছে আখিরাতের অনুপম ও চিরস্থায়ী সম্পদ’’। ‘‘প্রাগুক্ত’’ এখানে আলী (রা.) এর একটি অমর উক্তি স্মরণীয়; তিনি বলেন: ‘‘মহা-প্রতাপাম্বিত প্রভু আমাদের ব্যাপারে ভাগ-বণ্টনের যে ফায়সালা করেছেন তাতে আমরা তুষ্ট। তিনি আমাদের জন্য রেখেছেন ইল্ম আর শত্র“দেরকে দিয়েছেন সম্পদ’’। ‘‘মান্নান, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল ও অন্যান্য সম্পাদিত, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২০০০, পৃ. ১৮৯।’’
‘‘হেমস প্রদেশের শাসনকর্তা উমায়র ইবনে সা’দ উমর ইবনুল-খাত্তাব রা.-এর সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলে তিনি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন: তোমার ব্যক্তিগত ভান্ডারে পার্থিব আসবাবপত্র কি কি আছে? তিনি বললেন, একটি লাঠি আছে, উহার উপর ভর দিয়া চলি এবং তাদ্বারা সর্প ও অন্যান্য ক্ষতিকর প্রাণীকে আঘাত করি। একটি চামড়ার থলি আছে, উহাতে খাদ্য দ্রব্যাদি রাখি। একটি পাত্র আছে, উহাতে আহার্য রাখিয়া আহার করি, আবার প্রয়োজন হইলে উহাতে পানি মস্তক ও বস্ত্রাদি ধৌত করি। আর একটি ঘটি আছে, তাহাতে পানীয় রাখিয়া পান করি। আবার প্রয়োজনবোধে উহা দ্বারা উযু-গোসলও করিয়া থাকি। এই কয়েকটি পদার্থই আমার গৃহ-সামগ্রীর মধ্যে আসল। এতদ্ব্যতীত আর যে কয়েকটি পার্থিব সামগ্রী আমার অধিকারে রহিয়াছে তাহা ইহাদের আনুষঙ্গিক’’। ‘‘কিমিয়ায়ে সাআদাত, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭৪।’’ নবী করীম স. নিজ অধিকারে কোন স্বর্ণ-রৌপ্য রাখতেন না এবং যারা এসব অধিকারে রাখত, এমন কি নিজ সন্তান হলেও তা পছন্দ করতেন না। দরিদ্রদের মাঝে তা বিলিয়ে দিতেন এবং অপরকেও অনুরূপ করতে আদেশ করতেন। ‘‘প্রগুক্ত, পৃ. ৭৫’’। (অসমাপ্ত)