কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মোট ৫৭টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৫৪টি ভারত থেকে এবং ৩টি নদী মিয়ানমার থেকে এ দেশে প্রবেশ করেছে। তবে এসব নদীর বেশির ভাগই নাব্যতা হারিয়েছে, যা খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। মঙ্গলবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদে নওগাঁ-৬ আসনের এমপি ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে এমন তথ্য দেন মন্ত্রণারয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম।
মন্ত্রীর দেয়া তালিকা অনুযায়ী ভারত থেকে এ দেশে প্রবাহিত নদী গুলোর মধ্যে রয়েছে- রায়মঙ্গল নদী, ইছামতি কালিন্দী নদী, বেতনা কোদালিয়া নদী, ভৈরব কপোতাক্ষ নদী, মাথাভাঙা নদী, গঙ্গা, পাগলা, আত্রাই, পুনর্ভবা, তেঁতুলিয়া, ট্যাংগন, কুলীক, নাগর, মহানন্দা, ডাহুক, করতোয়া, তালমা, ঘোড়ামারা, দেওনাই-যমুনেশ্বরী, বুড়ি-তিস্তা, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রম্ভপুত্র নদ, জিঞ্জিরাম, চিলাখালি, ভোগাই, নিতাই, জালুখালি- দামালিয়া, নয়াগাং, উমিয়াম, ধলা, পিয়াইন, সারি গোয়াইন, সুরমা, কুশিয়ারা, সোনাই বরদল, জুরী, মনু, ধলাই, লংলা, খোয়াই, সুতাং, সোনাই, হাওরা, বিজনী, সালদা, গোমতী কাকরী-ডাকাতিয়া সেলোনিয়া, মুহুরী, সুমেশ্বরী, যাদুকাটা এবং ফেনী নদী। এছাড়া মিয়ানমার থেকে যে ৩টি নদী প্রবাহিত হচ্ছে- সাঙ্গু, মাতামুহুরী এবং নাফ নদী।
মন্ত্রী বলেন, এসব নদীর অনেকগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। ক্যাপিটাল ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যমুনা নদীর ২২ কিলো মিটার ড্রেজিং করতে ৯৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্ত নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) একনেকে গৃহিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫টি সীমান্ত নদীর ৩৪.৬০৯ কিলোমিটার ব্যাপী ৭৮টি স্থানে প্রতিরক্ষামূলক কাজের সংস্থান রয়েছে। যা দেশের ১২টি জেলার ২২টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। মোট ৪৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি তাড়াতাড়ি শুরু হবে।