বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বর্জন করলেন ৭ ইউপি চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ তাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে বাষিক উন্নয়ন তহবিলের টাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলি ইচ্ছে মত ব্যয় করায় তারা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বয়কট করেন।
বুধবার ছিল তাহিরপুর উপজেলা পরষিদরে ৩য় মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা। সকাল ১১ টা থেকে উন্নয়ন সমন্বয় সভা শুরু হয়েছিল উপজেলা পরিষদ পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে। সভা চলাকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হলে উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের টাকা বন্টন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এর সাথে। সে সময় মতবিরোধের সূত্রধরে সভায় উপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের সকল চেয়ারম্যান সভা বয়কট করে চলে যান।
পরবর্তীতে তাহিরপুরের গণম্যাধমকর্মীদের তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে বিষয়টি অবহিত করেন সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। অভিযোগকালে ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানান, বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের ৮ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা সমহারে বন্টন না করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৮২ জোড়া ব্রেঞ্চ তৈরী করে উনার ইচ্ছেমত শিক্ষা ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেয়। এমনকি বন্টনের দিনের তাদের কোন একজন চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হয় নি।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন- উপজেলা পরিষদ সমন্বয় সভায় যে বিষয়গুলো নিয়ে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা কার্যকর না করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উনার সিদ্ধান্ত মত কাজ করেন।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন- উপজেলা পরিষদে কি আছে না আছে তাদের জানতে দিতে নারাজ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানে বাষিক উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে বিভিন্ন আসবাব পত্র দেয়া হয় অথচ আমাকে জানানো হয় না। তাই আমার এর প্রতিকার চেয়ে আজ উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বয়কট করি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ সাইদুল্লা মিয়া বলেন, বণ্যার সময় তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্রেঞ্চ গুলো তৈরী করে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্টন করা হেয়ছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, গত মাসের সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রেঞ্চ বানানো হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা ৫ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ গুলো বন্টন করি। তাদের কে আমরা কোন কিছুই জানাই নি তা মিথ্যে। তা ছাড়া সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার মত কোন ঘটনা আজ ঘটেনি,কেন তারা চলে গেলেন তা তাদের বিষয়।