স্টাফ রিপোর্টার :
২৪৪ জন কনস্টেবল ৬ মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারস্থ আরআরএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) চতুর্থ ব্যাচে হবিগঞ্জের ৯৫ জন, মৌলভীবাজারের ৮৬ জন, মুন্সীগঞ্জের ৬৩ জনসহ ২৪৪ জন কনস্টেবল এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। গতকাল রবিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ শেষে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী কুচকাওয়াজ। অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি সিলেট রেঞ্জের উপ মহা-পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. কামরুল আহসান।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হয়ে প্রধান অতিথির কাছ থেকে পদক ও সনদপত্র গ্রহণ করেন পাঁচজন। তারা হলেন- মাসকেট্রি (ফায়ারিং) বিষয়ে টিআরসি-১৫ মেহেদী হাসান, প্যারেড বিষয়ে টিআরসি-১২১ মিনহাজুল ওয়াজেদ পিনন, পিটি বিষয়ে টিআরসি-১২৩ সজল দাস, আইন বিষয়ে টিআরসি-২২ আমজাদ হোসেন, ও সর্ব বিষয়ে টিআরসি-২২৮ মো. জুয়েল মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি মো. কামরুল আহসান বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশের নতুন সদস্যদের সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি পুলিশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পুলিশ সদস্যদের শতভাগ রেশন, জনবল বাড়ানো, পরির্দশক ও উপ-পুলিশ পরির্দশকদের যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা, স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা, ঝুঁকিভাতা দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সিলেট আরআরএফ কমান্ড্যান্ট মো. মাহমুদুর রহমান, পিপিএমের সভাপতিত্বে সমাপনী কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নজরুল ইসলাম, সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মনিরুজ্জামান, সুনামগঞ্জের এসপি মো. বরকত উল্লাহ খান, মৌলভীবাজারের এসপি মো. শাহজালাল, হবিগঞ্জের এসপি বিধান ত্রিপুরা পিপিএম।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (সদর, দপ্তর) রেজাউল করিম, (উত্তফয়সল মাহমুদ, ডিসি (ট্রাফিক) তোফায়েল আহমদ ও মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। এছাড়াও এসএমপি, আরআরএফ ও সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।