দোয়ারায় বাজিতপুর মঙ্গলপুর মরা সুরমা নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ

20

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর (উমরপুর) এবং পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর বাজার সংলগ্ন মরা সুরমা নদীতে সেতুর অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে বাজিতপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দারুল হেরা জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে স্কুল, মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীদের কষ্টের সীমা নেই। বাজিতপুর (উমরপুর) গ্রামের উন্নয়নের চোয়া লাগেনি এই গ্রামে। গ্রামের মধ্য দিয়ে দুটি ইউনিয়নের সংযোগ মরা সুরমা নদী । এ সুরমার উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন গ্রামবাসী। সুরমা নদী পারাপার সুবিধা বঞ্চিত হাজার হাজার লোকের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবী একটি সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণের অভাবে এলাকাবাসীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। নির্বাচন আসলে আর কর্মীদের শুধু কথার ফুলঝরি ফুটে। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর কোন সাক্ষাৎ মিলে না। বছরের পর বছর শুধু আশ্বাস আর আশ্বাস মিলে। বিভিন্ন নির্বাচনে বার বার আশ্বাস মিললেও সেতুর কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে উমরপুরবাসীর অভিযোগ। সেতু নাথাকায় যাতায়াতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য মঙ্গলপুর বাজার ও শ্রীপুর পান্ডারগাঁও বাজারে আনা নেওয়া অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে। শুধু বাঁশের সেতু উমরপুর গ্রামে ও মঙ্গলপুর অঞ্চলের একমাত্র ভরসা। যার ফলে বর্ষার মৌসুমে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এই গ্রামের সাঁকো বন্ধন কমিটি সভাপতি মোঃ মিয়াফর আলী ও সেক্রেটারী মোঃ ধন মিয়া, ক্যাশিয়ার মোঃ দুলাল মিয়া জানান মরা সুরমা নদীর উপর বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘ দিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে কোন সময়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকাবাসীকে অনেক কষ্টে হাট বাজার স্কুল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করতে হয়। মরা সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ দীর্গ দিনের দাবী। এলাকাবাসী উক্ত স্থানে ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।