জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জে টাকা দিয়েও মিলছে না বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের খুঁটি দেয়ার নামে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। বিদ্যুতের খুঁটির আশায় মোটা অংকের টাকা দিয়েও জকিগঞ্জ ইউপির গদিরাশি গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সাধারণ লোকজন জানিয়েছেন, গ্রামে বিদ্যুতায়নের কথা বলে হাছন আহমদ ও হানু মিয়া নামের দুজন লোক প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকটি পরিবারকে মাষ্টারপ্লানে বাদ দিয়ে গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু করা হয়। তখন বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের লোকজন তাদেরকে মাষ্টারপ্লানের অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানিয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুতের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিতভাবে দাবী জানান। কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। অন্যদিকে বিদ্যুতায়নের কাজ চলাকালীন সময়েও বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের লোকজন লিখিতভাবে বিদ্যুৎ না পাওয়ার কথা জানান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রকল্প বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে। এরপরও প্রকল্প প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর তাতে কর্ণপাত না করে কয়েকটি পরিবারকে বাদ দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ দেখিয়ে ষ্টেকিং সীটে উল্লেখ করেন তার জানামতে গ্রামটির কোন গ্রাহক বাকি নাই। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বঞ্চিত গ্রাহকদের মধ্যে।
এ ঘটনায় সম্প্রতি সময়ে লেচু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গদিরাশি গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে হাছন আহমদ (৪০), আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে হানু মিয়া (৪৫), পল্লী বিদ্যুতের ষ্টেকিং প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন (৪৫), প্রকল্প প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর (৫০) কে আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আসামীগণ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে গ্রাহক প্রতি ২ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা নিলেও ১২টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রেখেছে। এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন। বিদ্যুতের নামের চাঁদাগ্রহণকারী হোসেন আহমদ বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদা তুলার অভিযোগ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ষ্টেকিং প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমি অনেক আগেই বদলী হয়ে শ্রীমঙ্গলে দায়িত্ব পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমিও বুঝতে পারছিনা। এটা কোন ষড়যন্ত্র হতে পারে।