স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নাম আসা অভিযুক্ত ২৯ জনের মধ্যে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। গতকাল রবিবার আদালতের ধার্য্য তারিখে সিলেটের এডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে (ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো) হাজিরা দিয়েছেন তারা। তবে, বাকি আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল আদালতের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ হওয়ায় ১০ জন আসামী হাজিরা দেন। তারা সকলেই হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আদালতে হাজিরা দিতে আসা আসামীরা হলেন- তৎকালীন সিলেট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক (বরখাস্ত) সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৌরভ দাস, যুবলীগ নেতা বাবলা ও আবু সরকার (বহিরাগত, শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি)।
বাকি পলাতকরা হলেন- মো. আতিকুর রহমান, লায়েক আহম্মেদ, সিদ্দিক আহম্মেদ ইউসুফ, জহিরুল ইসলাম, আক্তারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান শাহিন, মোহাম্মদ বিন মামুন বুলবুল, আউলাদ, আছরাফ আহমেদ শিপন, নজরুল ইসলাম, অলিউল¬াহ ওরফে ওলিউর রহমান, খুরশেদ আলম, বাছিদ ওরফে আবদুল বাছিদ, আবদুস সালাম, ইমতিয়াজ রফিক চৌধুরী, আবদল্লাহ ফারুক, কয়েছ ওরফে কয়েছুজ্জামান তালুকদার, আবু রেহান, রুবেল। তারা সকলেই শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার পরদিন তদন্তে উঠে আসা ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা। ২০১২ সালের ৮ জুলাই এমসি কলেজে ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রাবাসে দেওয়া আগুনে ১, ২ ও ৪ নম্বর ব্লক সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর কলেজের হোস্টেল সুপার বশির আহমদ বাদী হয়ে শাহপরান থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আরও দুটি মামলা করা হয়।