ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) ডাঃ এ মালিক বলেছেন, বর্তমান সময়ে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যায় বড়ছে। এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। রেডিয়েশনের অভিশাপ থেকে তরুন সমাজকে বাঁচাতে হবে। মোবাইলের অপব্যবহার রোধ করতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে বেশী করে নজর দিতে হবে। শিশুদেরকে সুস্থ রাখতে হলে নৈতিকতা, সৃজনশীলতা ও ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
শনিবার দুপুরে নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স (পিপিআরসি) ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের যৌথ উদ্যোগে ‘হেলদি বাংলাদেশ’ এর জেলা পর্যায়ে ‘প্রেরণা’ কর্মসূচীর আওতায় আয়োজিত ‘নাগরিক সংলাপ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব এম.এম নাসির উদ্দিন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ তাহমিনা বানু, এইচএফজি ইউএসএআইডির কান্ট্রি ম্যানেজার হেলথ ফাইনেন্স এন্ড গভর্ণেন্স এর ডাঃ মুরসালিনা ইসলাম, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সহ-সভাপতি এ্যড. ইকবাল আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আমিনুর রহমান লষ্কর, প্রাইভেট হাসপাতাল ওনার এসোসিয়েশন, সিলেট-এর সভাপতি ডাঃ নাসিম আহমদ।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের পাবলিসিটি সেক্রেটারী আবু তালেব মুরাদের প্রাণবন্থ সঞ্চালনায় সংলাপে অংশগ্রহন করেন- সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আ.ফ.ম কামাল, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, বিশ্ব ব্যাংকের নগর বিশারদ ড. জাহিদ খান, গ্রীন ডেল্টা ইন্সিওরেন্স কোম্পানীর সাবেক চেয়ারম্যান এম. মুহিবুর রহমান, ক্রীড়াবীদ আলী আশরাফ চৌধুরী খালেদ, সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার, শিশু প্রতিনিধি লায়লা প্রমুখ।
সংলাপে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে ঠিকই তার মধ্যে সীমাবন্ধতাও রয়েছে। আমরা চাইলেই কোন কাজ করতে পারিনা। আমাদেরকে কোন প্রজেক্ট করতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। সেখানে দীর্ঘ ফরমালেটিস রয়েছে। তার পরও আমরা সাধ্যমত চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। জানুয়ারি মাস থেকেই মেডিকেল বর্জ ও সাভাবিক বর্জ পৃথকভাবে ড্যম্পিং করা হবে। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদেরকে সমস্যাগুলো মূখ খুলে বলতে হবে, বুঝতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। শিশু স্বাস্থ্যকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামকে আমরা মডেল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এধনের সংলাপের ফলে তৃণমূল থেকে অনেক আইডিয়া পাওয়া যায়। যা সরকারের নীতিনির্ধারকরা ফলো করলে হয়তো আমরা আরো দ্রুত লক্ষ্যে পৌছতে পারব। বিজ্ঞপ্তি