সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জে জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে মা-মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে জনৈক রুসমত আলী মোড়লের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুরমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাগমারা গ্রামের মৃত হাবু মিয়ার পুত্র আব্দুল বারিক (৫২) ও তার ভাই আব্দুস ছাত্তার (৪৮) আব্দুল বারিকের পুত্র জহিরুল ইসলাম (২৮) তার ভাই মিরাজুল ইসলাম (২৫) এবং মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আল-মামুন ঘটনার দিন প্রথমে বাঘমারা গ্রামের সাজু মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের পিতার রেকর্ডীয় জায়গা হতে বিভিন্ন জাতের ২০টি গাছ জোরপূর্বকভাবে কেটে নেয়। পূর্ব পুরুষের রেকর্ডীয় জায়গা হতে প্রতিপক্ষগণ কর্তৃক জোরপূর্বকভাবে গাছ কেটে নেয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের উদ্দেশ্যে রাবেয়া খাতুন ও তার কন্যা শহরে আসার পথে কৃষ্ণনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সরকারী রাস্তায় মা মেয়ের পথরোধ করে দাঁড়ায় জহিরুল ইসলাম। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে জহিরুলের নির্দেশে তার পিতা আব্দুল বারিক, চাচা ছাত্তার, ভাই মিরাজুল ইসলাম ও তার আত্মীয় আল-মামুনগং মা রাবেয়া বেগম ও কন্যা পারুল বেগমকে বেদম কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। পরে মা মেয়ে উভয়কে টেনে হেঁছড়ে স্থানীয় মুগাই নদীর পাড়ে নিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। গ্রামবাসী জানান, প্রতিপক্ষরা জাল দলিল সম্পাদসসহ জালিয়াতির আশ্রয়ে ঐ মা-মেয়ের জায়গা অবৈধ দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। এ ঘটনায় রাবেয়া বেগম প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ৮০/২০১৬নং স্বত্ত বাটোয়ারা মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ হয়। কিন্তু অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল জোরপূর্বক বসতভিটা নির্মাণ করতে গেলে পারুল বেগম তাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় জিডি নং ২২২ দায়ের করেন। সরজমিন তদন্তক্রমে সদর থানার এ.এস.আই আব্দুল হক কোন কোন বিবাদীর বিরুদ্ধে ৬/৫/২০১৭ইং তারিখে ৪২/২০১৭নং নন.এফ.আই.আর প্রসিকিউশন দাখিল করেন। এছাড়াও একই চক্রের বিরুদ্ধে অসহায় পারুল বেগমের ১৮৫/২০১৭ নং বিবিধ মোকদ্দমা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জোরপূর্বক গাছ কেটে নেয়ার ঘটনায় আবারও থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিপক্ষরা মা-মেয়েকে মারপিটসহ শ্লীলতাহানী ঘটায়।