সুবর্ণ রহমান
অনেকেই এসেছিল প্রভাতে,
সন্ধ্যায় গেছে চলে,
চায়ের কাপে ঝনঝনানি কথা বলে।
ভীষণ শীতে রেলের গায়ে কুয়াশা,
তবুও পথিক হেঁটেছে হারিকেন জ্বেলে,
লাঠিয়াল খেলেছে লাঠি,
জমিদারবাড়ি গেছে হারিয়ে কত,
রাজারকুমার-রাজকুমারী,ডাকাতের তাণ্ডব,
দেখেছে সে, সে এক ইতিহাস।
কুঁড়ে ঘর ভেঙেছে, অট্টালিকা উঠেছে,
আকাশের বয়স কমেছে হায়!
জীবন বেড়েছে শুধু কোটিকোটি বার,
বার্ধক্যে মেতেছে সব তরুণ -তরুণী,
প্রণয় বদলেছে কতকের-
একজন দেখেছে সব, হেসেছে মিটিমিটি।
অলক্ষ্যে চিনেছে, চিনিয়েছে সব,
পৌষের শেষে রমণীর চোখে দিলো ধরা,
ফিরলো না আর,
বঁড়শীর ফাঁদে কানকো গিয়েছে ছিড়ে,
রয়ে গেলো,
রেখে গেলো সব কপালের ভাঁজ।
জলের ঝাপটানি আকাশে শোনে,
পথিকের গান শোনে হেমন্তের বাঁশি
অবশেষ কবিতায় কাঁদলো সে শশী..