স্টাফ রিপোর্টার :
মামলার তদন্তকারী অফিসারের সামনেই দক্ষিণ সুরমায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যবসায়ীকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে ববরইকান্দি ইউনিয়নের জৈনপুর পশ্চিমপাড়ার ফখরুল ইসলামের বসতঘরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অবস্থা বেগতি দেখে মামলার তদন্তকারী সিআইডি অফিসার মুহিবুর রহমান খান মামলাটি তদন্ত সম্পূর্ণ না করেই চলে আসেন।
আহত ব্যবসায়ী দক্ষিণ সুরমা থানার জৈনপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত হাজী মো: ইসমাইল আলীর পুত্র জয়নুল ইসলামকে (৫৫)। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ৪ তলার ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহত জয়নুল ইসলামের ভাই ফখরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালামের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। দক্ষিণ সুরমা থানার ৮ (১৩-১০-২০১৫) নং মামলার বাদি আমি। মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী সিলেট জোনের সিআইডি অফিসার মুহিবুর রহমান খান মামলাটির তদন্ত করতে আমাদের বাড়িতে আসেন। আমার প্রতিপক্ষ পাশ্ববর্তী বাড়ির সিরাজুল ইসলাম তার ভাই আব্দুস সালাম তার ছেলে পাশাসহ ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত মিলে আমার ভাই ব্যবসায়ী জয়নুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা লুটপাট চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশী-অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে জয়নুল ইসলামকে বেদড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে তার পকেটে থাকা ব্যবসায়ীক ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের শোরচিতকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন অবস্থার বেগতি দেখে মামলার তদন্তকারী সিআইডি’র অফিসার মুহিবুর রহমান খান মামলার তদন্ত সম্পন্ন না করে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার এএসআই আব্দুল জলিলসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। ফখরুল ইসলাম আরো জানান, এর আগেও আব্দুস সালাম ও সিরাজুল ইসলামসহ তার লোকজন আমাদের নিরীহ পরিবারের বসত-বাড়িতে দুর্বৃত্ত দিয়ে সীমানা দেয়াল ভাংচুর করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানার ৮ (২১-০৩-১৬) নং একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, আব্দুস সালাম কর্তৃক একের পর এক আমাদের নিরীহ পরিবারের উপর এভাবে হামলা চালানোর কারনে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতা ভোগছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার এএসআই আব্দুল জলিল জানান, উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আহত জয়নুলকে চিকিতসা দেয়ার জন্য পরামর্শ দেই। ঘটনাস্থল এখন শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৫ টার দিকে মামলার তদন্তকারী সিলেট জোনের সিআইডি অফিসার মুহিবুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।