জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের একটি খাল রকম জলমহাল নিয়ে খাশিলা পূর্বপাড় ও খাশিলা পশ্চিমপাড় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে সংঘর্ষের আহবান জানালে এ দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় নিরপেক্ষ জনতা, জন প্রতিনিধি ও থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে বড় ধরণের সংঘর্ঘ থেকে এ দুই গ্রামবাসী রক্ষা পেয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
জানা গেছে, খাশিলা গ্রামের ভিতর দিয়ে একটি ছোট খাল রকম জলমহাল রয়েছে। প্রতি বছর এ খালের মাছ আহরণ করে আসছেন খাশিলা পশ্চিমপার গ্রামের লোকজন। এবার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সুপার মোহাম্মদপুর গ্রামের জেলে বাদল বিশ্বাসকে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়েছে।
শুক্রবার বাদল বিশ্বাসের লোকজন খালের পারে ছোট একটি খলাঘর নির্মাণ করলে খাশিলা পশ্চিমপার গ্রামের কিছু লোক তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে বাদল বিশ্বাসের পক্ষ নিয়ে খাশিলা পূর্বপার গ্রামের কিছু লোক এগিয়ে আসলে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে খাশিলা পশ্চিমপার গ্রামের পক্ষে ধন মিয়া লস্কর বলেন, এ খালের পশ্চিম দিকে আমাদের মালিকানা খাল রয়েছে। সরকারি খালে আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমাদের মালিকানা খালের মাছ অন্য কেউ ধরতে পারে না। সরকার লিজ দিলে গ্রামবাসী তা নিতে আগ্রহী রয়েছে। অন্যকে দেয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খাশিলা পূর্বপার গ্রামের পক্ষে সিপন আহমদ জানান, সরকার বাদল বিশ্বাসকে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। আমরা তার সাথে শরিক রয়েছি। যে কারণে আমরা প্রতিবাদ করেছি।
স্থানীয় কলকলিয়া ইউনিয়ন তপশিলদার রুহুল আমিন জানান, সরকার এ খালে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যদি কোন মালিকানা জমি জলমহাল হয়ে গেলে তা সরকারি হয়ে যায়।
তবে সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে থানা ভবনে এসআই হাবিবুর রহমান ও এসআই গোলাম মোস্তফার মধ্যস্থতায় বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হওয়ায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।