সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ‘হাওরের জেলা সুনামগঞ্জ এক সময় মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল। আজ কালের আবর্তে দেশীয় প্রজাতির অনেক সুস্বাদু মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। সৎসজীবীরা আজ অসৎজীবীদের খেলার পুতুল হয়েছেন। মৎসজীবীদের নামে সমিতি দিয়ে অমৎসজীবীরা বিলের মালিক হচ্ছে আর প্রকৃত মালিকরা হচ্ছেন শ্রমিক। ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নীতিমালা ও সঠিকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে আবারো মৎস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের মানুষের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাছ রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।’
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জে জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদন প্রকল্পের আওতায় জেলেদের পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহসিনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের উদ্যোগে ৩ হাজার ১৮৩ জন প্রকৃত জেলেদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) তুলে দেন এডভোকেট পীর ফজলুল রহমান মিসবাহ এমপি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ সুলতান আহমেদ, সহকারী কমিশনার প্রদীপ সিংহ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হারুনুর রশীদ, জাপা নেতা আব্দুর রশীদ, হাজী হেলাল, গোলাম সাদেক শিরু, মো. তাজুল ইসলাম রেজু, যুব সংগঠক মো: বুরহান উদ্দিন, জাপা নেতা আব্দুল মতিন, জসিম উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান সাজু, এশাদ আহমদ প্রমুখ।