বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজার উপজেলার সারপার বাজারে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কম পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তৈয়ব আলী ও সারপার মাদ্রাসার মধ্যে জমি সংক্রান্তে বিরোধের জের এ সংঘর্ষ ঘটে। দীর্ঘদিন থেকে সারপার বাজারে এ জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, দখল পাল্টা দখল চলে আসছে। তৈয়ব আলী আদালতের নির্দেশে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় কয়েক মাস পূর্বে জায়গার দখল নেন। এর মাস খানেক পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জায়গা দখল নিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। আজ তৈয়ব আলী লোকজন নিয়ে নারিকেল পাড়তে গেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়। এ বাধাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান, ওসি শাহজালাল মুন্সী ও মুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের কটই এলাকার বিশিষ্টজনরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন। বিজিবি’র নয়াগ্রাম বিওপি সুবেদার রেজাউলের নেতৃত্বে বিজিবি জোয়ানরা সংঘর্ষস্থলে এসে প্রথমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত শাহাব উদ্দিন (সারপার), আব্দুল হাসিব (পাথারীপাড়া), আব্দুল হান্নান ও আব্দুস শুক্কর (সারপার), রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমানসহ আহতদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত আব্দুল হাসিব বলেন, মাদ্রাসার দিক থেকে গুলি ছোড়ার শব্দ পাই। এই সময় আমার মাথায় এসে আঘাত লাগে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় পুলিশ জনপ্রতিনিধি ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষের তিনজন করে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী বলেন, সংঘর্ষে কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। গুলি ছোড়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এখানে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, আমরা সেখানে যাওয়ার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এলাকার সাধারণ মানুষের সগযোগিতায় এবং পুলিশের বলিষ্ট ভূমিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, ঘটনাটি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষের তিনজন করে ছয়জনকে উপজেলায় আনা হয়েছে।আলোচনার মাধ্যমে সামাজিকভাবে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া চলছে।