গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে জাফলংয়ে বন বিটের প্রায় দুই একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। জাফলং বন বিট কর্মকর্তার লিখিত উচ্ছেদ অভিযানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার দুপুরে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জাফলং বন বিটের ভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপিত একটি টিনের ঘর উচ্ছেদ ও একটি নির্মাণাধীন আধাপাকা ঘরের দেয়াল এবং কংক্রিটের সীমানা প্রাচীর পেলোডার মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চন্দ্র দাশ, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ, পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু, গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন, সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমেদ, জাফলং বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল খালিক, জাফলং পর্যটন মোটেল ম্যানেজার ইসমাইল আলীসহ অর্ধ শতাধিক পুলিশ ও বন বিভাগের ষ্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাফলং বন বিট সূত্রে জানা যায়, কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা ভূমি দখলের অপচেষ্টায় প্রায় বছর তিনেক পূর্বে খেলার মাঠ বানানোর কথা বলে ১১০নং ও ১৩৬ নং দাগে প্রথমে কংক্রিটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। কিন্তু বন বিটের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয় তারা। তাদের সে উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর পুনরায় ভূমি দখলের লক্ষ্যে ওই ভূমিতে বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের নামে একটি চার চালা টিনের ঘর স্থাপন করে। শক্তিশালী ওই ভূমি খেকো চক্রটির অবৈধ দখল ঠেকাতে স্থানীয় জাফলং বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল খালিক গত ২ নভেম্বর গোয়াইনঘাটের ইউএনও বরাবরে উচ্ছেদ অভিযানের একটি লিখিত আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বন বিভাগের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল বলেন, জাফলং বনবিট কর্মকর্তার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে বন বিভাগের ভূমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।