স্টাফ রিপোর্টার :
গত তিন দিনের টানা বর্ষণে সিলেটে দেখা দিয়েছে চরম জন দুর্ভোগ। বিশেষ করে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষদের। তাছাড়া খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন সংকটে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশের পাশাপাশি তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে সিলেটেতেও। শুধু শুক্রবার সিলেটে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে বাতাসও। ছাতা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে ভিজে কিংবা অর্ধ ভেজা হয়ে অফিস কিংবা কর্মস্থলে অথবা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। আর খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে যারা ফুটপাত বা খোলা জায়গায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা পড়েছেন সংকটে।
এদিকে গত দুই দিনের পাশাপাশি শুক্রবার শনি দিবাগত রাতে বর্ষণের কারণে সিলেটের অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলে গেছে। ফলে আজ ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়েছে সিলেটের উপশহর, শিবগঞ্জ, সুবিদবাজার, রায়নগর, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, মিরাবাজার, বাগবাড়ী, বালুচর, দক্ষিণ সুরমা লাউয়াই সহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, অধিকাংশ সড়কই পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পানি জমে রয়েছে। বৃষ্টি চলতে থাকায় জমা পানির পরিমাণ বাড়ছেই। আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, শনিবারও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী দুইদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
পশ্চিম-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়ে উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের অধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালন মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে দেয়া তিন নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।