ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে মামলা আপোষ না করায় হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষীর উপর অতর্কিত হামলা করে মহিলাসহ ১০জনকে আহত করেছে আসামিরা। শুক্রবার বাদ জুম্মা দক্ষিণ খুরমা ইউপির সেনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় মমতাজ উদ্দিনও বাহার উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের জামিনে সুনামগঞ্জ জেল থেকে বেরিয়ে আসে মেধাবি কলেজ ছাত্র রিমন হত্যা মামলার বাদির উপর মামলা প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় শুক্রবার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাদি মমতাজ উদ্দিন, সাক্ষী বাহার উদ্দিন, করিম, শামীম, সামছুন নাহার, আলী আহমদ, জসিম উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন, নিহতের ভাই ইমন, নাইমসহ অন্যান্যদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ১০জন আহত হয়। এদেরকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় দু’জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, জাউয়া ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র রিমন আহমদ বাড়ি ফেরার পথে ২০১৬ সালের ২৩ আগষ্ট সেনপুর গ্রামের আব্দুল মনাফের পুত্র আব্দুস সুবহান, আব্দুল কাহার, আব্দুস সালাম ও নবীজ আলীর পুত্র ফারুক আহমদ-কালাসহ প্রায় ২০জন লোক মধ্যযুগীয় কায়দায় তার উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। এর দু’দিন পর সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে ২০ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুনামগঞ্জ আদালতের জিআর মামলা নং ২২০/২০১৬ইং (ছাতক) ও জজ আদালতের দায়রা নং ৬৩৬/২০১৬ইং মামলায় সুবহানসহ অন্যান্যরা হাইকোর্টের জামিনে বেরিয়ে এসে বাদি ও সাক্ষীর উপর এ হামলা করেছে বলে জানা গেছে।